ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩২, ০৩ মে ২০২৫, ০৫ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

মুজিববাদী কোনো শক্তি দেশে বিরাজ করতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট    | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০১, মে ২, ২০২৫
মুজিববাদী কোনো শক্তি দেশে বিরাজ করতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী ফাইল ফটো

ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, যারা বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই মুজিববাদী পরিবারকে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে আওয়ামী লীগ নামধারী, মুজিববাদী নামধারী কোনো শক্তি বাংলাদেশে বিরাজ করতে পারবে না এবং দেবে না।

শুক্রবার (২ মে) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর আয়েজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী আরও বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক লড়াইয়ের মাধ্যমে জানান দিয়েছিলো, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যতদিন থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ নামে এ দেশে কোনো আর খুনি হাসিনা এবং মুজিববাদীদের অস্তিত্ব থাকবে না। এ বিষয় ফয়সালা হয়েছে। এখন আমাদের এ ফয়সালা ঝুলছে কেন, সে বিষয় আমাদেরকে নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমত বাহাত্তর সালে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিলো। যেই সংবিধানে মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে ভারতীয় এক্সটেনশন বাংলাদেশে বিরাজমান করা হয়েছিল। এ সংবিধান যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, এ সংবিধান যতদিন বিরাজমান থাকবে, এ সংবিধান যতদিন ব্যুরোক্রেসিতে থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগ বারবার ফেরত আসার চেষ্টা করবে। গণপরিষদের মাধ্যমে যদি আমরা একটি নতুন সংবিধান না বানাতে পারি, আজকের এ সমাবেশের মধ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে থাকবে। আমাদের জীবন যেভাবে হুমকির মুখে ছিল, আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সেভাবে হুমকির মুখে রাখতে চাই না। আমরা অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ইসির কলকবজা ও কলকাঠি নাড়িয়ে একটি দল নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গত ১৫ বছরে যখন আমাদের মায়েরা জেলের দ্বারগুলোতে ঘুরে ঘুরে ফিরেছে, আমার ভাইয়েরা যখন গুম হয়েছে, আমার ভাইয়েরা যখন শহীদ হয়েছে, তখন আপনাদের যারা নেতৃত্ব রয়েছে তারা আয়েশি জীবন, ভোগ-বিলাসে মগ্ন ছিলেন। আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করেছিলেন। আপনাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। আপনাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হওয়ার কারণে ফিনেক্স পাখির মতো ক্যাম্পাস থেকে এ ছাত্র-জনতা বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে যদি নেতৃত্বের প্রশ্ন আসে, তাহলে এ ছাত্ররাই নেতৃত্ব দেবে। এ ছাত্ররাই সচিবালয়, আর্মি, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংসদে নেতৃত্ব দেবে।

এর আগে বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে ৩টি ট্রাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ।

সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।

এসসি/আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।