ঢাকা, বুধবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের উদ্যোগে জুনে নতুন রাজনৈতিক দল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৯, মে ১৩, ২০২৫
সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের উদ্যোগে জুনে নতুন রাজনৈতিক দল ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নতুন বাংলাদেশ বিনিমার্ণের আকাঙ্ক্ষায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যসহ বেসামরিক সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দলটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকরা।

নতুন দলের উদ্যোক্তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লে. কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ছাত্র-জনতার ডাকে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থান ছিল এক ফ্যাসিবাদবিরোধী গণজাগরণ। প্রায় দুই হাজার শহীদ, ৩০ হাজারের বেশি আহত এবং অসংখ্য মানুষের মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এবং একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে রচিত হয়েছিল 'বাংলাদেশ ২.০'। তবে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এই বিপ্লবের মূল চেতনা আজ হুমকির মুখে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যন্তরীণ ও বহিঃচাপের মধ্যে পড়ে জুলাইয়ের অঙ্গীকার থেকে অনেকটাই বিচ্যুত। প্রচলিত রাজনৈতিক দলসমূহ আবার ফিরে যাচ্ছে পুরনো রাজনীতির ধারায়। তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, কোন্দল, ক্ষমতার লোভ ও চেতনার বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি হত্যাকাণ্ডের দায় থাকা সত্ত্বেও ফ্যাসিস্টরা লাল পাসপোর্ট নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছে। জুলাই আহতদের যথাযথ চিকিৎসা, সুরক্ষা ও পুর্নবাসনের অভাব দেখা যাচ্ছে। কন্যাদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এবং তা সইতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের সামনেই পরাজিত শক্তি মিছিল করছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা হচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চিহ্নিত ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করতে মরিয়া অথচ জুলাইয়ের আহতরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতর।

তিনি আরো বলেন, এই বাস্তবতায় আমরা বিভিন্ন শ্রেণীপেশার দেশপ্রেমিক নাগরিক আজ ঘোষণা দিচ্ছি একটি নতুন রাজনৈতিক দলের যাত্রার। যার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে হবে বলে আশা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করা না হলেও দলটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, ক্ষমতার লোভ নয়, এই দলের উদ্দেশ্য সকল নাগরিকের সমান অধিকার, ইনসাফভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি হতে পারে একান্ত সেবার মাধ্যম, যদি নেতৃত্ব গ্রহণ করেন প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর (অব.) মো. রাজিবুল হাসান, লে. (অব.) সাইফুল্লাহ খান সাইফ, ডা. সৌরভ চন্দ্র মজুমদার, মো. মুশফিকুর রহিম, খান মো. নাজমুস সাকিব প্রমুখ।

এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।