ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মোশাররফ হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নিজ বাড়িতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত মোশাররফ দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
আহত ছয়জন হলেন- আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাহিদ। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আহম্মদ আলী জানান, দিঘীরপাড় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ শিকদার ও আবু সাঈদের দুটি সামাজিক দল ছিল। গ্রাম পর্যায়ে তারা আলিমুদ্দীন ও আহম্মদ আলী পক্ষে বিভক্ত হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর উভয়পক্ষের সামাজিক দলের সদস্যরা যুবদল নেতা শাহাবুল ও বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের দলে যোগ দেন এবং বিরোধ আরও চরমে ওঠে।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, পুরোনো বিরোধের জের ধরে গত ২৮ এপ্রিল উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। ঘটনার দিন আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারীসহ পাঁচজনকে আহত করে। এরই জের ধরে বুধবার দুপুরে এলাকায় পুলিশ আসার খবরে আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। যে কারণে সুযোগ বুঝে আহাম্মদ আলীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আলিমুদ্দীন পক্ষের সদস্য মোশাররফের বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাতজনকে গুরুতর জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মোশাররফের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এসআরএস