রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে আগামী তিন মাসের জন্য বিধি-নিষেধ জারি করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ বিধি-নিষেধ জারি করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এতথ্য নিশ্চিত করেন
জেলা প্রশাসক বলেন, ৩০ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা, বিপনন, পরিবহন ও স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে কোনো উপায়ে হ্রদে মাছ ধরা, বিপণন ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে হ্রদের মাছ বাঁচাতে নৌপুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে। এছাড়া হ্রদে অবৈধ মাছ শিকারীদের শাস্তি দেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ মাছ ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
হ্রদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়। অভয়াশ্রমগুলো হলো— জেলা প্রশাসকের বাংলোঘাট, রাজবন বিহারঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিসঘাট ও নানিয়ারচর ছয় কুড়ি বিল। এই অভয়াশ্রমগুলোতে সারা বছর মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
হ্রদে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুস্থ গোষ্ঠীর খাদ্যসহায়তার (ভিজিএফ) চাল বিতরণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের পোনা ছাড়া হবে। এছাড়া হ্রদে যারা অবৈধ জাঁক (মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ) দিয়ে মাছ ধরছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআরএস