রাঙামাটি: রূপ বৈচিত্র্যের শহর পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে গত তিনদিনে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। সরকারি বন্ধ এবং সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পর্যটক সমাগম তুলনামূলক বেড়েছে বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঙামাটির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল উল্লেখযোগ্য। যেমন- সুবলং ঝরনা, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আসামবস্তী-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক সব পর্যটন স্পটে পর্যটকের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। আবহাওয়া ভালো থাকায় পর্যটকরা স্পটগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটিয়েছেন বলে জানান তারা।
রাঙামাটির হোটেল-মোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, গত তিনদিনে তাদের ৭০ ভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং ছিল। যা ঈদের পর সবচেয়ে বড় বুকিং বলে জানান তারা।
রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সাহেদ জামিল বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণের জন্য তীর্থভূমি বলে থাকি সবুজ নগরী রাঙামাটিকে। এখানে যেমন সুবিশাল নীলাভ জলের সংমিশ্রণ কাপ্তাই হ্রদের রূপ দেখতে পায় তেমনি সুউচ্চ পাহাড় মায়াবী বেশে কাছে টানে। তাই ছুটি পেলে বছরে একবার এখানে আসি।
তার জীবন সঙ্গী ফারজানা ময়না বলেন, প্রতিবার বাচ্চাদের নিয়ে আসি। তাদের পরীক্ষা থাকায় এইবার আনা হয়নি। স্বামীর প্রিয় জায়গাটাতে বারবার আসার কারণে আমারও বেশ ভালো লেগে গেছে।
রাঙামাটির ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, গত তিনদিন আমরা ভালো ব্যবসা করেছি। পর্যটক নির্ভর আমাদের ব্যবসা। পর্যটক এলে আমরা ভালো থাকি, আমাদের সংসারের চাকা ঘুরে, কর্মচারীদের বেতন হয়।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, তুলনামূলকভাবে রাঙামাটিতে ভালো পর্যটক এসেছে। সরকারি এবং সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত তিনদিনে রাঙামাটিতে গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক এসেছে। অর্থাৎ তিনদিনে প্রায় ছয় হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। ঈদের ছুটি পর এইবার এত পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরএ