যশোর: দুই মাসের ছুটিতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছিলেন যশোরের বাবলুর রহমান (৫০)। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে তার মালয়েশিয়া ফেরার কথা ছিল।
নিহত বাবলুর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর মেজ ছেলে। বাবলুরের স্বজনদের মধ্যে আরও আটজন সদস্য মালয়েশিয়ায় থাকেন।
২০০৬ সালে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান বাবলুর। ১৯ বছরের প্রবাস জীবনে একাধিকবার দেশে ফেরেন তিনি। আবার ফিরেও যান কর্মস্থলে। এবারের ছুটিও ছিল অস্থায়ী— কিন্তু এই যাত্রা হয়ে গেল চিরবিদায়ের।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকায় সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস থেমে ছিল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে।
বাসের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন যাত্রী, তাদের একজন ছিলেন বাবলুর রহমান। এ সময় একটি পণ্যবাহী ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাবলুর রহমানের ভাইপো শাওন হোসেন জানান, তার দাদা মোহর আলীর চার ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে সাহেব আলী (৫৫) ও মেজ ছেলে বাবলুর ২০০৬ সালে একসঙ্গে মালয়েশিয়া যান। পরে ধাপে ধাপে তার আরও পাঁচজন স্বজন সেখানে যোগ দেন। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় তার আট স্বজন কর্মরত।
বাবলুর স্ত্রী বেলোহার বেগম এবং দুই মেয়ে—তানিয়া বেগম ও রানি বেগম বাবার মৃত্যুর খবরে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। বৃদ্ধা মা সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিপন হোসেন জানান, মরদেহ যশোরে আনা হচ্ছে। মাদারীপুর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান, বাবলুরের তিন ভাই বর্তমানে মালয়েশিয়ায় থাকায় বাড়িতে পুরুষ সদস্য বলতে কেবল কয়েকজন ভাতিজা রয়েছেন।
** সকালের ফ্লাইটে সৌদি আরবে যাওয়া হলো না প্রবাসী বাবলুর
এসআরএস