ঢাকা: সাহিত্যপ্রেমী পাঠক আর তরুণ লেখকদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার উদ্যোগে ‘সাহিত্য আড্ডার’ আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে রোদের তেজ যখন কমতে শুরু করেছে তখন কলেজ শাখার বন্ধুরাও আসতে শুরু করেন সাহিত্য আড্ডায়।
আড্ডায় সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে জীবন্ত হয়ে ওঠে অক্ষরে আঁকা চরিত্রগুলো। চরিত্রগুলো আঁকেন লেখক কিন্তু তাতে প্রাণ দেন পাঠক নিজের মতো করে। তারা চরিত্রগুলোকে সাজান আপন ভূবনে। আড্ডায় উঠে আসে সাহিত্যের নানা দিক।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা মিথুন আলোচনা করেন লতিফুল ইসলাম শিবলী রচিত আসমান বইটি নিয়ে।
বইটিতে দুই তরুণের জীবনের অনেক হতাশা, পথভ্রষ্ট হওয়া, স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ার পর আবার কীভাবে তারা তাদের জীবনের সব হতাশা কাটিয়ে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন, সেই প্রেক্ষাপটি উঠে আসে।
আমাদের তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষই বর্তমানে নানা হতাশা-বেদনায় জর্জরিত। তারা ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার ধৈর্য, মনবল পায় না। তাই আসমান বইটি আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া বইটির আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়েও ব্যাপক আলোচনা করা হয়।
সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি ফারিয়া হক তাজিম, সাধারণ সম্পাদক- রেবেকা সুলতানা মিথুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাসলিমা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফফাত সুলতানা, সদস্য তাসনোভা তুশিন, আঁখি মনি, সানজিদা নীলা, জ্যোতি, সাহিদা সুলতানা,চুমকি খাতুন,জান্নাতুল ফেরদৌস, জান্নাতুল মেঘলা, নাবিহা তাহসিন, নাফিয়া তাসনিম নিশু, নিঝুম, রুকাইয়া, রিতু ইয়াসমিন ঝর্ণা, আয়েশা সিদ্দিকা, পলি আক্তার, তাহমিনা, উম্মে মাহফুজা তাবাসসুম, সায়মা, জান্নাতুল, জেরিন আক্তার ঝর্ণা, রুনা, আয়শা ও সাদিয়া ইসলাম।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি ফারিয়া হক তাজিম সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি সাহিত্য আড্ডার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার প্রধান শাখা সাহিত্যচর্চা। সাহিত্যচর্চার ফলে মানুষের জৈবিক ও আত্মিক- এ দুই সত্ত্বারই উৎকর্ষ সাধন হয়। সাহিত্য নির্জীব প্রাণকে সজীব করে তোলে। সাহিত্যচর্চার ফলে ব্যক্তির মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়ে। আবেগ, অনুভূতি ও মূল্যবোধকে জীবনের সামগ্রী করে নেওয়ার প্রেরণা জোগায়। তাই ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে ফিরে এসে আমাদের সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। নিয়মিত সাহিত্য আড্ডা আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ও লেখালেখি করতে উৎসাহিত করবে।
এসআই