ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

গত আসরের সর্বোচ্চ শিকারিরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
গত আসরের সর্বোচ্চ শিকারিরা ফাইল ফটো

বিপিএলের উন্মাদনার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। সপ্তমবারের মতো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির এই মেগা ইভেন্ট। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল।

গতবার ফাইনাল সহ ৪৬টি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান। ঢাকা ডায়নামাইটসের দলপতি ২৩টি উইকেট নিয়ে সেই আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হন।

শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে আর কোনো বোলারই এক আসরে এতোগুলো উইকেট পাননি।

সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস):
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের অন্যতম সাকিব ডায়নামাইটসের অধিনায়কত্ব করেছেন। দলে ছিল একগাদা দেশি তারকা, ছিল নাকউঁচু স্বভাবের ইংলিশ তারকা ইয়ান বেল, লুক রাইট, লঙ্কান-প্রোটিয়া-আফগান-বিশেষ করে ক্যারিবীয়ানদের মতো বিদেশিদের ছড়াছড়ি। সবাইকে এক সূতোয় বেধে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৫ ম্যাচ খেলে সাকিব তার ঘূর্ণিজাদুতে ৫৬ ওভার বল করে নেন সর্বোচ্চ ২৩টি উইকেট। তাতে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকও হন সাকিব। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিবের সেই আসরে সেরা বোলিং ফিগার ৪/১৬। ইনিংসে চার উইকেট একবার।

তাসকিন আহমেদ (সিলেট সিক্সার্স):
একের পর এক ইনজুরি বার বার বিব্রত করেছিল পেসার তাসকিন আহমেদকে। বিপিএল শুরুর আগে নিজেকে ফিট প্রমাণ করেই ২২ গজে নামতে হয়েছিল। তারপরও সিলেট সিক্সার্সের ডানহাতি গতি তারকা তাসকিন প্রাথমিক পর্বের ১২টি ম্যাচেই খেলেছেন। খুলনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সিলেট প্লে-অফের আগেই ছিটকে না পড়লে তাসকিন হয়তো আরও কয়েকটা উইকেট নিয়ে জাতীয় দলের প্রতিনিধি হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিমান ধরতে পারতেন। ভাগ্যদেবী তাসকিনের পাশে না দাঁড়ালেও বল হাতে ৩৭.১ ওভার করে এই পেসার ২২টি উইকেট নেন। উইকেটে আগুন ঝড়ানো বোলিং করা তাসকিনের গত আসরে সেরা বোলিং ফিগার ৪/২৮। ইনিংসে চার উইকেট দুইবার।

মাশরাফি বিন মর্তুজা (রংপুর রাইডার্স):
পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। যতই বয়স বেড়েছে আরও যেন তরুণ হতে থাকেন বিপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী অধিনায়ক এবং টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি। রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা পাইয়ে দেওয়া ম্যাশ গতবার দলকে নিয়ে গেছেন অলিখিত সেমি ফাইনাল, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। ফাইনালের ঠিক এককদম আগে বিদায় নেওয়া রাইডার্স দলপতি সেই আসরে উইকেট ভাগাভাগিতে জুনিয়রদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়েছেন। ১৪ ম্যাচে ৫৫ ওভার বল করে নিয়েছেন ২২ উইকেট। ভেঙে যাওয়ার আগে না মচকানো মাশরাফির সেই আসরে সেরা বোলিং ফিগার ৪/১১। ইনিংসে চার উইকেট একবার।

রুবেল হোসেন (ঢাকা ডায়নামাইটস):
এতো এতো তারকার ভিড়ে নিজেকে আলাদা করেই চিনিয়েছেন রুবেল হোসেন। বাটারফ্লাই ডেলিভারির উদ্ভাবক ঢাকা ডায়নামাইটসের এই ডানহাতি পেসার ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। দুর্দান্ত একটি আসর শেষ করার আগে খেলেছেন দলের প্রতিটি ম্যাচেই, প্রধান পেসার হিসেবে। ১৫ ম্যাচে ৫২.৪ ওভার বল করে রুবেল নিয়েছেন ২২টি উইকেট। ছোটো রানআপে দারুণ গতি তোলা এই ডানহাতি পেসারের সেই আসরে সেরা বোলিং ফিগার ৪/২৩। ইনিংসে চার উইকেট দুইবার।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স):
জাতীয় দলের তরুণ প্রতিভাবান এই অলরাউন্ডার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডেথ ওভারে কিলার মিলার খ্যাত ডেভিড মিলারের হাতে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করেছিলেন। তিক্ত সেই অভিজ্ঞতা তার হজম হয়েছিল কী না কে জানে! ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে গতবার যখন ডেথ ওভারে বল পেলেন, ছক্কাও খেলেন আন্দ্রে রাসেলের কাছে, তখন সবারই এক প্রশ্ন ডেথ ওভারে তাকে না আনলেই কী হতো না কুমিল্লার। গতবার সাইফউদ্দিন নিজেকে প্রমাণ করেছেন, তাকগোল পাকাননি, অভিজ্ঞ বোলারের মতোই ডেলিভারি দিয়ে কুমিল্লাকে ১ রানের জয় পাইয়ে দিয়েছেন। সেদিনের নায়ক সাইফউদ্দিন গত আসরে ১৩ ম্যাচ খেলে ৪৬ ওভার বল করে নিয়েছেন ২০ উইকেট। ডানহাতি পেস-অলরাউন্ডারের সেই আসরে সেরা বোলিং ফিগার ৪/২২। ইনিংসে চার উইকেট একবার।

সুনীল নারাইন (ঢাকা ডায়নামাইটস):
ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে স্পিন বোলিং দিয়ে শুরু করলেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে হঠাৎ করেই ওপেনার বনে যান সুনীল নারাইন। ক্যারিবীয়ান এই তারকাকে গত আসরের সাইলেন্ট কিলার উপাধি দেওয়া যেতে পারে। নীরব ঘূর্ণির মায়াজালে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করতে তার জুড়ি নেই। সেই আসরে প্রথম থেকে শেষ অবধি ঢাকার অন্যতম বিদেশি অস্ত্র ছিলেন নারাইন। ব্যাট হাতে দলকে কিছু বাড়তি সার্ভিস দেওয়ার পাশাপাশি বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। ১৫ ম্যাচে ৫৬ ওভার বল করে নারাইন তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ১৮ উইকেট। তার সেরা বোলিং ফিগার ৪/১৫। ইনিংসে চার উইকেট একবার।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।