ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবির লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
চবির লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময়  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে 'চট্টগ্রাম বিভাগে বিগত বছরগুলোতে জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গৃহিত উদ্ভাবনসমূহ এবং তা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক মতবিনিময় সভা করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাব্বির ইকবাল, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিভাগের প্রভাষক নওশীন ইসলামসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা বলেন, লোকপ্রশাসনের কাজ হলো নীতি বাস্তবায়ন করা। তবে বর্তমানে আইনের খসড়াগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমলারা তৈরি করে থাকে। এরপর আইন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টারা সেটাকে যাচাই-বাছাই করে সংসদে প্রেরণ করেন। সর্বোপরি আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব এই লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থীদের ওপরেই পড়ে। আর যারা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করি, আমরা লোকপ্রশাসনের শিক্ষার্থী হয়ে উঠি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে খুব মিস করি। আজ শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে নিজেকে তারুণ্যের মধ্যে খুঁজে পেলাম। বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থা আর ব্রিটিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো 'চুক্তি'। মূলত নানান চুক্তির উপরেই আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দেশ কেন স্বাধীন হলো? কারণ পাকিস্তান আমলে আমরা সব উৎপাদন করতাম, কিন্তু তারা সব নিয়ে যেতো। এর জেরেই তো যুদ্ধ হলো। কিন্তু এখন তো সবকিছু আমাদের কাছে, তাও কেন এত সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল। মূলত মানুষের মধ্যকার অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই প্রশাসনিক পরিবেশ গড়ে ওঠে।  

তিনি আরও বলেন, এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো তথ্য। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজিন্সের (এআই) মাধ্যমে এখন সমগ্র পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ আমরা তখনই পাবলিক সার্বিসটা সুন্দরভাবে দিতে পারবো, যখন প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। তবে মানুষের যেই ডাটাগুলো আমরা নিচ্ছি, এর নিরাপত্তাও আমাদের দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত হাজার কোটি টাকা চলে গেলো, সেখানে তো সিকিউরিটির অভাব ছিলো না। তাহলে কেন এ ঘটনা ঘটলো। কারণ আমাদের যথাযথ প্রোটেকশন নেই। এসব তথ্যের কোনো মালিকানা নেই। আপনারাই আগামীদিনে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দিবেন। আপনারা যতোটা ইনোভেটিভ হবেন, দেশ ততো ভালো পাবলিক সার্ভিস পাবে।

লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এটাই সর্বশেষ ক্লাস। আমি বিশ্বাস করি এই দিনটি আপনাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক মহোদয় দায়িত্ব নেওয়ার পর উনার প্রথম প্রোগ্রাম এটি। লোকপ্রশাসনের তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কি পার্থক্য বা জিজ্ঞাসা শিক্ষার্থীদের আছে, সেই উত্তরগুলোই আমরা সরাসরি প্রশাসনিক যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই জানার ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে মাঠপর্যায়ে গিয়ে এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের কাজে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।