ঢাকা: নানা অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এই টিম প্রথমে বিএসইসির চেয়ারম্যানে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগে ০২ মার্চ (রোববার) দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে একটি অভিযান পরিচালনা হয়।
অভিযান চলাকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম বিএসইসি থেকে আইপিও অনুমোদন সম্পর্কিত কোম্পানির আবেদন, দাখিলকৃত প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা প্রতিবেদন, প্রয়োজনীয় অন্যান্য নথিপত্র এবং চূড়ান্ত অনুমোদন তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে দাখিলকৃত বানোয়াট উপার্জন ও সম্পদ বিবরণী এবং উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ব্যালেন্স শিটের ভিত্তিতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রেই ডিএসইর সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করা হয়েছে, যা ব্যাপক অনিয়মের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে জালিয়াতি, শেয়ার বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে শেয়ার বিক্রি, শেয়ার মূল্যের দ্রুত অবনমন ও বিক্রির পর বিএসইসি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় দুদক।
দুর্বল কোম্পানিগুলোর অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ার ফলে শেয়ার বাজারে প্রবেশের পর তারা অল্প সময়ের মধ্যেই জেড ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের তৈরি উইন্ডো ব্যালেন্স শিট ও ভুল উপার্জন রিপোর্টের ভিত্তিতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইস্যু ম্যানেজারের তৈরি অধিমূল্যায়িত কোম্পানি প্রোফাইলের কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনিয়মের আশ্রয়ে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে টিম কর্তৃক প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও সেই সময় জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
এসএমএকে/এসআইএস
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
এসএমএকে/এসআইএস