ঢাকা, বুধবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কলম বিরতি পালন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩২, মে ১৪, ২০২৫
কলম বিরতি পালন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগ করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার (১৪ মে) কর্মসূচির প্রথম দিন সকাল থেকে কলম বিরতি পালন শুরু করেন।



সকাল থেকে এনবিআরের কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশেই কিছু অত্যাকবশ্যকীয় কাজ শেরে প্রতিবাদী কর্মসূচির মুডে চলে যায়। শুরু করে কলম বিরতি। রাজধানীর বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাম্টম হাউজগুলোতে চলছে পূর্ব-ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন শুরু করে।

কর্মকর্তারা বলেন, সরকারের সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে আমরা একমত। আমরাও চাই সংস্কার হোক, কিন্তু সংস্কারের নামে সরকারের পুরো রাজস্ব ব্যবস্থা আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা লাল ফিতার মধ্যে বেঁধে ফেলা হোক, এটা আমরা চাই না। আমরা চাই সত্যিকারের সংস্কার। রাজস্ব বোর্ডকে ভেঙে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দুটি খন্ডিত অংশ হোক আমরা তা চাই না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস ও ভ্যাট) সাধন কুমার কুন্ডু বাংলানউজকে বলেন, রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার আমাদের প্রত্যাশিত। কিন্তু সরকার যে প্রক্রিয়ায় এটা করেছেআমরা তা চাইনি। আমরা চাই রাজস্ব বোর্ড সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিত অংশিজনদের আলাপ করে চূড়ান্ত করা হোক।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটা সবাইকে জানানোর প্রয়োজন, কিন্তু সেটা প্রকাশ করা হয়নি। প্রজ্ঞাপনের আগে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে অর্থনীতিবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারতো।

একই কথা বলেন, রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টম হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগ করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে কর্মকর্তারা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।  
ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা ও শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করবেন। তবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, আমদানি-রপ্তানি ও বাজেট—এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। বাকি সব কার্যক্রম কলম বিরতির আওতায় বন্ধ রয়েছে।

জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।