ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বন্ধ হলো সেই বিদ্যালয়ের গেস্ট রুম 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
বন্ধ হলো সেই বিদ্যালয়ের গেস্ট রুম 

পটুয়াখালী: কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের গেস্ট হাউসটি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘বিদ্যালয় ভবনে গেস্ট হাউস বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন শিক্ষকরা!’ সংবাদ প্রকাশের পর পরই বিষয়টি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নজরে আসে।

 

দ্রুতই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে নিজেই গেস্ট হাউসটি বন্ধ করে দেন তিনি।  

ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বাংলানিউজে খবরটি পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়টিতে চলে যাই। সেখানে নিউজে যা বলা হয়েছে ঠিক তেমনটিই দেখি। ওই ভবনের তিন তলায় ৬টি রুম দখল করে গেস্ট হাউস বানানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত। আমরা গেস্ট হাউস বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছি।

জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটিকে গেস্ট হাউস বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়াও হচ্ছিল নিয়মিত।

এই গেস্ট হাউস তৈরির অর্থ কোথা থেকে এসেছে, ভাড়া কোথায় যাচ্ছে কিংবা ভাড়ার টাকা কে কী খাতে ব্যয় করছেন - এর সঠিক কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শিক্ষকরা নিজেরাই ৫০ হাজার টাকা করে শেয়ার নির্ধারণ করে, শ্রেণিকক্ষকে গেস্ট হাউসে রূপান্তরিত করেন। সেই শেয়ার মোতাবেক আদায় করা ভাড়া ভাগ করে নিতেন তারা।

এতোদিন এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা ছিল না।

তবে রোববার (৯ জুলাই) রাতে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাওছার বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। আর এ থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।  

এসব কক্ষ সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছিলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান।  

তিনি বলেছিলেন, মূলত বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তারা কুয়াকাটায় আসেন, তাদের জন্য অনেক সময় রুম পাওয়া যায় না সে কারণে মূলত গেস্ট হাউজ হিসেবে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনও সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হয় না।

এছাড়া তিনি দাবি করেছিলেন, বিদ্যালয়টির মোট চারটি কক্ষকে গেস্ট হাউস বানানো হয়েছে, যার দুটি কক্ষে দুজন শিক্ষক নিয়মিত থাকছেন এবং দুটি কক্ষে অতিথিরা এলে থাকেন।  

একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষকে গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহার করার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে কিনা প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।