ঢাকা: তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এদিন সকালের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে তাদের উপস্থিতি।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ সংলগ্ন রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
কর্মসূচিস্থলে দেখা যায়, গত দুই দিনের মতো আজও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন জবির শিক্ষার্থীরা, তাদের সঙ্গে আছেন শিক্ষকরাও। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে, জবিয়ান জবিয়ান’, ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া মৎস্যভবন সংলগ্ন কাকরাইলমুখী সড়কে ব্যারিকেড ফেলে রাখতেও দেখা গেছে।
এর আগে গত ১৩ মে দুপুরে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসিতে যান। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ১৪ মে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ১৪ মে ঘোষিত কর্মসূচি ‘লং মার্চ টু যমুনা’ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড় এলেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।
আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন। এছাড়া অন্তত ৩০ জনের অধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
এমএমআই/এইচএ/