ঢাকা: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া জবি শিক্ষার্থীরা এমনটি জানান।
তিন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কাকরাইলে যমুনা অভিমুখী সড়কে এসে অবস্থান নেয়।
বিকেলে উপাচার্যের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যায়। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে রাত ১০টার পরে অবস্থান কর্মসূচিতে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় তার মাথায় বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাতে জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন। শামসুল আরেফিন বলেন, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। সারা রাত এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করব। এখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, সেই দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করব।
শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
ইএসএস/আরএইচ