ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাজীপুর সিটি ভোট প্রচারে প্লাস্টিকের ব্যবহারে ইসির নিষেধ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
গাজীপুর সিটি ভোট প্রচারে প্লাস্টিকের ব্যবহারে ইসির নিষেধ

ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্লাস্টিকের ব্যবহার করে কোনো প্রচার চালাতে পারবেন না। এমনকি পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন প্রচারও চালাতে পারবেন না কেউ।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. ফরিদুল ইসলামকে নির্দেশনা দিয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সম্প্রতি নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশের ক্ষতিসাধন না করে বিশেষ করে প্লাস্টিক লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি নিষেধ আরোপ এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসর করে প্রচার, ভোটগ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম করতে হবে। এছাড়া ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরে নির্বাচনী মালামাল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে স্বাস্থ্য অফিসের নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১২ এর উপবিধি (৩) এর দফা (গ) এর উপদফা (ইইই) অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে ওই দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কোনো রাজনৈতিক দল কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না, একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দান করলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে ওই দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। আরো উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবে।

এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের ৩০০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইতিপূর্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তার জন্য ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করার প্রয়োজন হবে না। অন্যদের ক্ষেত্রে ৩০০ জনের মধ্যে পাঁচ জনের তথ্য কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যাচাই করতে হবে।

এদিকে আগ্রহী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ৫০০ টাকা হারে ট্রেজারি চালান বা পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ভোটার তালিকার সিডি ক্রয়ের অর্থ চালানে জমা দানের কোড ১-০৬০১-০০০১-২৬৩১।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় আচরণবিধির কপি সংশ্লিষ্ট মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেবেন।  

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০ ৮, ২০২৩    
ইইউডি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।