ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রবাসীদের ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
প্রবাসীদের ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল 

ঢাকা: প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শক কমিটিগুলো আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবেদন জমা দেবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।


 
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
 
প্রবাসীদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণে পরামর্শ কমিটি করা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরামর্শক টিম গঠন করা হয়েছে। তিনটি পদ্ধতি নিয়ে তিনটি টিম কাজ করবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
 
গত ০৮ এপ্রিল দেশসেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠকের পরদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথম তার ভাষণে প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশনও এ প্রত্যাশা ধারণ করে। আমরা ১৭৮টি দেশে স্টাডি করে দেখেছি, ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। সবচেয়ে অনুশ্রিত পদ্ধতি হচ্ছে দূতাবাসে, এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট, এরপর হচ্ছে অনলাইন বা প্রক্সি ভোটিং। বাংলাদেশের প্রবাসীদের যে বিস্তৃতি তাতে দূতাবাসে সেটা সীমিত। এজন্য তিনটিকে শর্ট লিস্ট করেছি। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং। তিনটিরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু সুবিধাও আছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পর নির্বাচন, আইন, কারিগরি ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বুধবার (০৮ এপ্রিল) কর্মশালা করি। যেখানে ১০টি টিম তাদের পরামর্শ উপস্থাপন করেছে। এসময় ঢাবি, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজক্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিল।
 
তিনি বলেন, ১০টি উপস্থাপনার মধ্যে তিনটি পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা দেখেছি। আমরা যে পদ্ধতিই অনুসরণ করিনা কেন, তা বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিস্তৃতিসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে করতে হবে। যে পদ্ধতিতেই করি না কেন, প্রবাসীদের প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটি পদ্ধতি নয়, বরং মিশ্র পদ্ধতি করতে হবে। কেননা, একেক দেশের পরিস্থিতি একেক রকম। সব পদ্ধতির সফলতা ও দুর্বলতা আছে। সব পদ্ধতির জন্য মক টেস্টিং প্রয়োজন হবে। সম্ভবত, সব পদ্ধতির জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে করতে হবে। এটা অনেক দেশ করছে।

তিনি বলেন, পরামর্শক কমিটি তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করে কী করে দুর্বলতা কাটানো যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবে। এরপর আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বসবো। ইনশাআল্লাহ এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে পারবো।
 
ইসি সচিব আখতার আহমেদ নতুন নিবন্ধন নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা, তা কমিশনের সিদ্ধান্ত। এখনও ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের সময় আছে।

নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, সংস্কারে ব্যাপারে যেভাবে সরকার থেকে পদ্ধতি নেওয়া হবে সেভাবে হবে। তবে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার পাঠানোর জন্য সরকার থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মতামত পাঠাবো।
 
অন্যদিকে ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়ের (বিজি প্রেস) সঙ্গে বৈঠকে ইসির মুখপাত্র আরও বলেন, বিজি প্রেসে আমাদের কিছু কাগজ আছে। সেগুলো যদি ব্যবহার করা না যায়, তাহলে তা ডিসপোজ করা হবে। এছাড়া কাগজ কেনার জন্য তিন মাস লাগে। যেহেতু নির্বাচনের কোনো সিদ্ধান্ত জানি না, কিন্তু আমাদের তো প্রস্তুতি থাকতে হবে। আজই তো প্রস্তুতির বৈঠক হলো, এটা চলমান থাকবে। আস্তে আস্তে সবকিছু বাস্তবায়ন করা যাবে। কেনা থেকে শুরু করে মুদ্রণ পর্যন্ত কত সময় লাগবে আমরা জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছে, তিন থেকে চার মাস লাগবে। বিজি প্রেস যখন প্রয়োজন মনে করবে তখন থেকে কাগজ সংগ্রহ করবে।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, দল নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি তো চলছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
ইইউডি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।