ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৩ মাসের মধ্যে আঙুলের ছাপ না দিলে ভোটারের আবেদন বাতিল

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
৩ মাসের মধ্যে আঙুলের ছাপ না দিলে ভোটারের আবেদন বাতিল

ঢাকা: কোনো ব্যক্তি ভোটার হওয়ার জন্য তিন মাসের মধ্যে আঙুলের ছাপ না দিলে তার আবেদন বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নতুন করে ফের আবেদন করতে হবে।

এছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তোলার তারিখ নির্ধারণের ব্যবস্থাও করছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকেই আবেদন করার পর মাসের পর মাস চলে যায়, তবু আঙুলের ছাপ দিতে আসেন না। ফলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা বেড়ে যায়। এতে দাপ্তরিক কাজ বেড়ে যায়। তাই তিন মাসের মধ্যে কেউ আঙুলের ছাপ না দিলে তার আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে আগে আবেদন করলে কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান এবং ছবি তোলার জন্য তারিখ দিতেন৷ এতে অনেক সময় সেবা গ্রহীতাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মর্জির ওপর নির্ভর করতে হবে। এতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়তেন৷ তাই সেবাটি সহজ করার জন্য স্বয়ংক্রিয় অ্যাপয়েনমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে কেউ আবেদন সম্পন্ন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান এবং ছবি তোলার তারিখ পেয়ে যাবেন। সেই তারিখেই এলেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

এছাড়া আগে প্রতিদিন এ সেবা দেওয়া হতো না৷ নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন কর্মকর্তাদের জন্য সেবাগ্রহীতাদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়া এবং ফটো তোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর ইতিমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুদারের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে শিডিউল প্রদান করতে হবে। শিডিউল প্রদান করার পরও আবেদনকারী কর্তৃক পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক প্রদান করা না হলে সার্ভার থেকে ওই আবেদন অটোমেটিক ডিলিট হবে। এছাড়া প্রত্যেক কর্মদিবসের নতুন নিবন্ধনের জন্য ছবি তুলতে হবে। নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে না।

বর্তমানে দেশের ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১১ লাখ। প্রতি বছর নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন আসে ২০ লাখের মতো৷ এছাড়া অনেক প্রবাসীও দেশে আসেন ভোটার হতে। এক্ষেত্রে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত নতুন ভোটার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।