ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বঙ্গজয়ে আসন সংখ্যা বেঁধে দিলেন মোদি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৪
বঙ্গজয়ে আসন সংখ্যা বেঁধে দিলেন মোদি

কলকাতা: ভারতে ফের একবার ক্ষমতায় আসতে হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির কতগুলো আসন দরকার, তা জানিয়ে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনী প্রচারে দুই দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসছিলেন তিনি।

শুক্রবার হুগলি জেলার আরামবাগের পর শনিবার (২ মার্চ) নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপির জনসভায় ফের একবার মোদির মুখে উঠে এলো তৃনমূলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ। পাশাপাশি রাজ্যের সবকটা আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার আর্জি জানিয়ে গেলেন তিনি।

এদিন কৃষ্ণনগর থেকে বসিরহাটের সন্দেশখালিতে নারীদের ওপর অত্যাচারসহ সে অঞ্চলের ‘ত্রাস’-এর গ্রেপ্তার ও নারীদের জোট বাঁধার প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেছেন, সন্দেশখালিতে বাংলার নারীশক্তি দুর্গা হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাই অপরাধী ধরা পড়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ অপরাধী ধরে না। অপরাধীরা ঠিক করে তারা কবে ধরা দেবে। টিএমসির (তৃণমূল কংগ্রেস) মানে এখন বদলে গিয়েছে। টিএমসি মানে তুমি, আমি আর দুর্নীতি (হিন্দিতে বলেছেন, তু ম্যায় অউর করাপশন)।

বক্তৃতার শেষ পর্বে ভারতের সংসদ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেই জয়ের প্রতিশ্রুতি চাইলেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে এসে বাংলায় ৪২ আসনে বিজেপির জন্য ৩৫ আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু, মোদি তা ছাপিয়ে গেলেন। বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি চাইলেন ৪২টি আসনের জন্যই।

ভারতের সংসদ নির্বাচনের ৫৪৩ আসনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৪২ আসন। গত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১৮ আসন। রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার আসন সংখ্যা বাড়বে। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে ৩৫ আসনের টার্গেট ঠিক করে দিয়েছিলেন।

কিন্তু শনিবার সবকিছু ছাপিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় সব আসন জয়ের পাশাপাশি এবার বিজেপি ৪০০ আসন পার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এবারের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রীর মুখে একবারও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কোনো বক্তব্য শোনা যায়নি। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ভারতে সংসদ নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি শোনা গিয়েছিল, সিএএ বাস্তবায়িত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি পোর্টাল বানিয়ে ফেলেছে। কারণ, গোটা প্রক্রিয়াই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। যারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন, তাদের ওই পোর্টালের মাধ্যমে করতে হবে।

কোনো শরণার্থী ভারতে প্রবেশের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানালে, তা ওই সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে করতে হবে। ইতোমধ্যে তার ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে। তবে শনিবার সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে একটি কথাও বলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।