ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কসাই জিহাদ ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে, ডরিন যাবেন কলকাতায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
কসাই জিহাদ ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে, ডরিন যাবেন কলকাতায়

কলকাতা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় কসাই জিহাদ হাওলাদারকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালত। শুক্রবার (২১ জুন) আদালত এ আদেশ দেন।

 

বর্তমানে জিহাদ দমদমের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। আদালত ভার্চ্যুয়ালি আসামির বক্তব্য শোনেন। পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করে আদেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস। ৫ জুলাই তাকে আবার তাকে আদালতে তোলা হবে।

গত ২৩ মে জিহাদকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশ সিআইডি। ২৪ মে প্রথমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। এরপর দুই ধাপে ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন আদালত।  

রিমান্ড শেষে গত ৭ জুন জিহাদকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মেয়াদ শেষে  শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়।  

জিহাদের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪, ৩০২, ২০১ ও ১২০ বি- এ চার জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।  

এদিকে উদ্ধারকৃত দেহাংশ বিশেষ এবং হাড়ের টুকরো মানুষের বলে জানিয়েছিল ফরেনসিক বিভাগ। সম্প্রতি তারা নিশ্চিত করেছে, সেসব দেহাংশ পুরুষের।  

এরপরই জানা যাচ্ছে, এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করছে সিআইডি। তাকে সম্ভবত আগামী সপ্তাহ কলকাতায় আসতে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কথা চলছে, তবে আগামী সপ্তাহেই ডরিন যেতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।

তবে সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ডরিনকে কলকাতায় যেতেই হবে। কারণ সিআইডির ফাইল ক্লোজ করতে হলে ডিএনএ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

গত ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসে এমপি আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। তার নির্দেশেই  হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা যায়। তার নির্দেশেই কসাই জিহাদসহ চারজন এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলেও জানা যাচ্ছে।  

খুনের পর কসাই জিহাদই ধারাল অস্ত্র দিয়ে এমপি আনারের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে সেগুলোকে ক্যারি ব্যাগে ভরে রাখেন। পরে টুকরোগুলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ভাঙ্গড় ব্লকের কৃষ্ণমাটি খাল এলাকায় ফেলে দেন। জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্যই জানতে পারেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

পরে ওই খাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করেন সিআইডির কর্মকর্তারা। সিআইডি কর্মকর্তা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেসব মানুষের হাড়।

পাশাপাশি সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে তিন কেজি মাংস। উদ্ধারকৃত ওই মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০২৪
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।