ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

ভারত

স্বামীকে খুন করে ভিডিওকলে মরদেহ দেখালেন প্রেমিককে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
স্বামীকে খুন করে ভিডিওকলে মরদেহ দেখালেন প্রেমিককে

স্বামীকে খুন করে ভিডিওকলে প্রেমিককে মরদেহ দেখালেন ঘাতক প্রেমিকা। পিলে চমকানো এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলায়।

গত ১৩ এপ্রিল ইন্দোর-ইছাপুর হাইওয়ের আইটিআই কলেজের সামনে প্রধান সড়কের কাছে একটি ঝোঁপ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের হয়ে আসে।  

খুন হওয়া যুবকের নাম রাহুল। তিনি শাহপুরের বাসিন্দা। তার মরদেহে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যা থেকে তারা স্পষ্ট ধারণা করছে ওই যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।  

প্রাথমিক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তারা নিশ্চিত হয়েছে আঘাতগুলো মারাত্মক ছিল। পুলিশ খুনের ঘটনায় মামলা করার পর পুরো রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে।

বুরহানপুরের পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমার পাতিদার এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অন্তর সিং কানেশ এবং সিটি পুলিশ সুপার গৌরব পাতিলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এর তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিকারপুরা থানার ওসি।

পুলিশ এরই মধ্যে যুবরাজ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা আটক ব্যক্তির সঙ্গে রাহুলের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আটক যুবরাজ জিজ্ঞাসাবাদে রাহুলকে হত্যার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

যুবরাজ পুলিশকে জানান, রাহুলের স্ত্রী গত ১২ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে তাকে ভিডিও কল করে রাহুলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখিয়ে নিশ্চিত করে রাহুলকে হত্যা করা হয়েছে।  

পুলিশ খুনের সঙ্গে জড়িত চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- যুবরাজ, ললিত, নাবালক এবং রাহুলের স্ত্রী।  

অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাহুলকে বুরহানপুরে কেনাকাটার অজুহাতে বাইরে নিয়ে যান তার স্ত্রী। রাতের খাবার খেয়ে তারা বাড়ি ফেরার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাহুলের স্ত্রী স্পিড ব্রেকারের কাছে তার স্যান্ডেল ফেলে রাহুলকে মোটরসাইকেল থামাতে বলে। রাহুল মোটরসাইকেল থামাতেই তারা রাহুলকে ঝোঁপের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। পরে সবাই মিলে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে রক্তাক্ত মরদেহ ঝোঁপের মধ্যে ফেলে চলে যায়। তবে পুরো ঘটনা জুড়ে, রাহুলের স্ত্রী, যুবরাজ, ললিত এবং ওই নাবালক ফোনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখের।

হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা তিনজন রাভের রেলস্টেশনে যান, ইটারসির উদ্দেশে ট্রেনে ওঠেন এবং পরে উজ্জয়িনীর উদ্দেশে বাসে ওঠেন।  

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।