ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৩৪ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে শুধু মিসৌরিতেই ১২ জন নিহত হয়েছেন।
ঝোড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধূলিঝড়ের কারণে কানসাসে যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত আটজনের প্রাণ গেছে। খবর বিবিসির।
মিশিগান, মিসৌরি ও ইলিনয়সসহ সাতটি অঙ্গরাজ্যে রাতে আড়াই লাখের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা বিদ্যুৎহীন হওয়ার তথ্য জানিয়েছে পাওয়ার আউটেজ।
লুইজিয়ানার পূর্বাঞ্চল, জর্জিয়ার পশ্চিমাঞ্চল, টেনেসির মধ্যাঞ্চল ও ফ্লোরিডা পানহ্যান্ডলের পশ্চিমাঞ্চলে টর্নেডোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিসিসিপিতে টর্নেডোর আঘাতে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর টেট রিভস।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মিসিসিপির মধ্যাঞ্চল, লুইজিয়ানার পূর্বাঞ্চল ও টেনেসির পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা এবং সাধারণ বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আলাবামা ও আরকানসাসের কিছু এলাকাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শনিবার রাতে আলাবামার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টর্নেডো সতর্কতা জারি করা হয়। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানায়, আকস্মিক বন্যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে দ্রুত সবচেয়ে মজবুত আশ্রয়ে যেতে বলেছে এবং ঝড় পুরোপুরি থামা পর্যন্ত সেখানেই থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।
এনডব্লিউএসের তথ্য অনুযায়ী, টেনেসির শেলবিতে ঘণ্টায় ৬০ মাইল (৯৭ কিমি) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
আরএইচ