মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড মঙ্গলবার ট্রাম্প সৌদি আরবে যাচ্ছেন। এই সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন।
হোয়াইট হাউস বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের এবারের সফর ঐতিহাসিক। এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্সির প্রথম কোনো সরকারি রাষ্ট্রীয় সফর।
ট্রাম্পের এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি আঞ্চলিক ইস্যুতে কূটনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করবেন, যার মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সংক্রান্ত আলোচনা।
সৌদি আরবে ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো মার্কিন শিল্পখাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। এই অঙ্ক সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আগের ঘোষিত ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক বেশি।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে তালিকায় রাখছেন না ট্রাম্প। অবশ্য এ সিদ্ধান্তে কিছু মহলে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সৌদি আরব থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক কিম্বারলি হ্যালকেট জানান, মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছালে ট্রাম্পকে জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে।
ইস্তাম্বুলের জাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামি আল-আরিয়ান বলছেন, ট্রাম্প এই সফরের মাধ্যমে তিন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে এবং তাদের কাছ থেকে অন্তত দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন।
আরএইচ