দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুস্তাফাবাদ এলাকার দয়ালপুরে একটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের আট সদস্য রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু।
শনিবার ভোরে, আনুমানিক ৩টার আগে ভবনটি ধসে পড়ে। প্রায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার কার্যক্রমের পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভবনটির মালিক ৬০ বছর বয়সী তাহসিন এবং তার পরিবারের সদস্য—ছেলে নজিম (৩০), পুত্রবধূ সাহিনা (২৮), নাতি আনাস (৬), নাতনি আফরিন (৪) ও আফান (২), ছোট পুত্রবধূ চাঁদনী (২৩), এবং আত্মীয় ইশাক (৭৫)। আহত হয়েছেন তাহসিনের স্ত্রী জিনাত (৫৮) ও ছোট ছেলে চাঁদ (২৫)। উল্লেখ্য, তাহসিনের বড় ছেলে আস মোহাম্মদ ২০২০ সালের দাঙ্গায় প্রাণ হারান।
নিহত বাকি তিনজন হলেন দুই ভাই দানিশ (২৩) ও নাভেদ (১৭), এবং এক নারী রেশমা (৩৮)।
দিল্লি দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা রাজেন্দ্র অতওয়াল জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। দ্রুতই ১০টি দমকল ইঞ্জিন পাঠানো হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), দমকল বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থা।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ভবনের নিচতলায় দোকান নির্মাণের কাজ চলছিল এবং আগের রাতে ধুলিঝড়ের পর এই ধসের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এই দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ উল্লেখ করে এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া বার্তায় জানান, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এমজে