আলোচনার আড়ালে ইরানের ওপর সামরিক হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার আর কেবল হুমকিতে সীমাবদ্ধ নয়—বিশ্বশক্তির ছায়া তলে ইসরায়েল সত্যিই মাঠে নামতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নয়টি বিশাল ট্রান্সপোর্ট বিমানে করে ইসরায়েলে এসে পৌঁছেছে বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমা। যেগুলো মূলত ইরানের মাটির গভীরে থাকা পরমাণু স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, আগামী মাসের মধ্যেই ইরানে হামলার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এই হামলা হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রেখেই, তবে ওয়াশিংটনের পরোক্ষ সম্মতি যে রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে এত বড় অস্ত্রসজ্জা সরবরাহের মধ্য দিয়েই।
সম্প্রতি নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ আধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্রে বোঝাই মার্কিন বিমানগুলো। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এসব অস্ত্র সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যেই হামলার প্রস্তুতিমূলক মহড়াও শেষ করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটলেও ইসরায়েল হামলার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন সামরিক ছাতার বাইরে থেকে ইরানে হামলা চালানো নেতানিয়াহুর পক্ষে কঠিন, এমনকি দুঃসাহসিকও।
নেতানিয়াহু বরাবরই ইরান-মার্কিন পারমাণবিক আলোচনার কট্টর সমালোচক। তার মতে, আলোচনার মাধ্যমে নয়, কেবলমাত্র সামরিক হামলাই ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই ইরানে সামরিক অভিযান নিয়ে একাধিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে আয়াতুল্লাহ আল খামেনি পরিস্থিতির গুরুতরতা আঁচ করে দেশের সেনাবাহিনী ও প্রতিরোধ বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, আলোচনা যতই এগোক, হঠাৎ করে তা ভেস্তে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী অবস্থানের কারণে। একইসঙ্গে তিনি নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি ইরানে হামলা হয়, তার প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এমজে