বিশ্ববাসী যখন সাংবাদিক সম্মেলনকে একটি আনুষ্ঠানিক রুটিন বলে ধরে নেয়, তখন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সেটাকে একেবারে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন।
একনাগাড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গড়লেন নতুন এক বিশ্বরেকর্ড— পেছনে ফেললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও।
শনিবার (৩ মে) সকাল ১০টা (স্থানীয় সময়) থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলে গভীর রাত পর্যন্ত— মোট সময় ১৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের দাবি, কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম প্রেস কনফারেন্স।
বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু একদিকে যেমন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, অন্যদিকে তুলে ধরেন সংবাদপত্রের নিরপেক্ষতা ও সত্যনিষ্ঠার গুরুত্ব। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণের পাঠানো প্রশ্নেরও জবাব দেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ফ্যাক্টচেকড, ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা একটি সমাজের মেরুদণ্ড।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২০১৯ সালে ১৪ ঘণ্টা ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তারও আগে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ৭ ঘণ্টার সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমবার আলোচনায় আসেন। এবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাদের দুজনকেই ছাপিয়ে গেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আরও জানান, রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে মালদ্বীপের অবস্থান দুই ধাপ উন্নত হয়ে এখন ১০৪তম।
সাংবাদিকদের জন্য সম্মেলনস্থলে ছিল খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আয়োজন। অংশগ্রহণ করেন প্রায় দুই ডজন সাংবাদিক। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এই দীর্ঘ প্রেস কনফারেন্স শুধু একটি রেকর্ড নয়; গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও জনগণের প্রতি জবাবদিহিতায় তার অঙ্গীকারের সংকেত।
২০০৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ সারা বিশ্বের নজর কাড়েন সমুদ্রের নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকির বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই তারা স্কুবা গিয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশে জাতীয় টেলিভিশনে বৈঠক করেন।
এমএম