ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে উৎপাদন হয়, এমন পণ্য আমদানিতে বাড়তি কর আরোপের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৭, মে ১৩, ২০২৫
দেশে উৎপাদন হয়, এমন পণ্য আমদানিতে বাড়তি কর আরোপের দাবি ইআরএফ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘এসএমই বান্ধব বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৫-২৬ মতবিনিময় সভা

দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্য মানুষের চাহিদা পূরণ করছে, এসব পণ্য উৎপাদকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে রক্ষা করতে একই পণ্য আমদানিতে বাড়তি কর আরোপের তাগিদ দিয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মুশফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘এসএমই বান্ধব বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৫-২৬ মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এসএমই বলতে যে সংজ্ঞা ব্যবহার করে, আমরা তা ভিন্নভাবে দেখি। সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে এসএমইকে এক সংজ্ঞায় চিহ্নিত করতে হবে, যাতে এসএমই খাতের উন্নয়ন, খাতের স্বার্থ রক্ষা ও বেশি শিল্পের বিকাশের ধারা রক্ষার্থে একই রকম প্রচেষ্টা নেওয়া যায়।

তিনি বলেন, এ মূহূর্তে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি গুণগত কর্মসংস্থানে ভূমিকা বাড়ানো যায়। এ জন্য এসএমই খাতের ক্ষুদ্র শিল্প বান্ধব কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের একটি ইউনিক বা সর্বজনীন সংজ্ঞা অনুসরণের তাগিদ দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে এসএমই খাতের। দেশে শিল্পায়নের ৯৯ ভাগ এসএমই খাতের। আর এক ভাগ বৃহৎ শিল্পের। দেশের বৃহৎ এই অংশ অবহেলিত থাকলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুই-ই পিছিয়ে থাকবে। এজন্য অর্থায়নের পাশাপাশি আরও যেসব সুবিধা প্রয়োজন, তা দিতে এগিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, একসাথে বড় অর্থায়নের সমস্যা থাকলে আস্তে আস্তে করুক। কিন্তু প্রতি বছরে বাজেটে কিছু ঘোষণা থাকতে হবে, যাতে বোঝায় যায় এসএমই খাতের বিকাশে সরকারের মনোযোগ আছে।

সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, শুরুতে আমরা বাইরের বিভিন্ন দেশের পণ্যের অনুকরণে প্লাস্টিক পণ্য বানিয়েছি। এখন আমরা এসব পণ্য উৎপাদনে বেশ এগিয়েছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছি। এখন বিদেশি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করলে এসব  পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। এজন্য এখনই আমাদের নিজস্ব ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন করতে হবে, ইতোমধ্যে আমরা শুরুও করেছি। কিন্তু এতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন। এসএমই ফাউন্ডেশনকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

ইআরএফ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।