ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৫, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি হাইকোর্ট

ঢাকা: ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চারটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা, কায়সার কামাল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

রিটকারী আইনজীবী মো. আজমল হোসেন (খোকন) বলেন, পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে আদালত রিটটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। পর্যবেক্ষণে কি আছে পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে জানা যাবে।

২১ জানুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর গেজেট জারি হয়।  

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের নিমিত্ত বা পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, এই অধ্যাদেশ উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাইপূর্বক সুপারিশ করার জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে এবং তা ‘সুপ্রিম  জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ নামে অভিহিত হবে। ’ 

এতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে থাকবেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে মোট সাত সদস্যের এই কাউন্সিল গঠন করা হবে। সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচজন পদাধিকারবলে সদস্য। পদাধিকারবলে সদস্য পাঁচজন হলেন কাউন্সিলের চেয়ারপাসন (প্রধান বিচারপতি), আপিল বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি (বিচারকর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত নয়), বিচারকর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। দুইজন অস্থায়ী সদস্য যারা কাউন্সিলের চেয়ারপারসন মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ এবং আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক কাউন্সিলের সদস্য হবেন।

অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন (খোকন)।  

এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি। অধ্যাদেশের তিন, চার, ছয় ও নয় ধারার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।

অধ্যাদেশের তিন ধারায় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, চার ধারায় কাউন্সিল সচিব, ছয় ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং নয় ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগবিষয়ক সুপারিশ সম্পর্কে বলা রয়েছে।

১৭ মার্চ এ রিট শুনতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ব্রিবতবোধ করেন। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে আদেশ দেন আদালত। পরে প্রধান বিচারপতি রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান।

ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।