ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে সরকার-ইসিকে আইনি নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪১, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে সরকার-ইসিকে আইনি নোটিশ ইশরাক হোসেন

ঢাকা: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং শপথ পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। যদিও রোববার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গেজেট (সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি) প্রকাশ করে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, দুই নাগরিকের পক্ষে ডাকযোগে ও মেইলে রোববার (২৭ এপ্রিল) এ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতেই নোটিফিকেশন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেওয়া সেটা নোটিশদাতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথগ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট।

নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক।

ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।  
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

এরপর রোববার ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে আইনজীবী মনিরুজ্জামান স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম, ইশরাক হোসেন বরাবর নোটিশ পাঠান।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথা প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত এই রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম এ আদেশকে ইসি চ্যালেঞ্জ করবে। সেটাও চ্যালেঞ্জ করল না। আবার আজকে নিউজে দেখলাম আইন উপদেষ্টা বলছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের যে মতামত চেয়ে তার জন্য অপেক্ষা না করে এই নোটিফিকেশন জারি করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে।

ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।