ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বকশীগঞ্জে আ. লীগের কমিটিতে রাজাকারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
বকশীগঞ্জে আ. লীগের কমিটিতে রাজাকারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ শাহিনা বেগম ও বাবুল তালুকদার

জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির শীর্ষ দুই পদে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানের নাম ঘোষণা করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃস্টি হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটিতে এসব রাজাকার সন্তানদের নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় ১৬জন মুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন।

অনুলিপি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবর।
মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ বকশীগঞ্জ শাখার সভাপতি শাহিনা বেগমের বাবা আব্দুল কাইয়ুম মুন্সী ও সাধারণ সম্পাদক পদে বাবুল তালুকদারের বাবা মরহুম মফিজল হক তালুকদার দুইজনেরই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ছিল বিতর্কিত।

২৮ নভেম্বর কোনো সম্মেলন ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদারের নাম ঘোষণাকরা হয়।  

অথচ তারা দুজনই যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। শাহিনা বেগমের বাবামরহুম আবদুল কাইয়ুম মুন্সী ১৯৭১ সালে লুটপাট, হত্যা, অগ্নিসংযোগের কারণে যুদ্ধাপরাধ মামলায় তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণে মামলা খারিজ হয়ে যায়।

অন্যদিকে ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদারের বাবা মরহুম মফিজল হক তালুকদার ১৯৭১ সালে দড়িপাড়া, মাঝপাড়া, উত্তর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া তৎকালীন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও তার বাড়ির প্রহরী কুব্বাত মিয়াকে আগুনে নিক্ষেপ করেন।

দুই রাজাকারের সন্তানদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে দুই পদে বসানোর দাবি করেছেন।

প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষর করেন বীর প্রতিক জহুরুল হক মুন্সী, বীর প্রতিক বশির আহাম্মেদ, অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন খান, সাইদুর রহমান, সামছুল হক, মো. আব্দুস সাত্তার, আব্দুল আলী, আব্দুল জব্বার, জহুরুল হক, মো. নাফি, মো. হুরমুজ আলী, ইদ্রিস আলী, আমির হোসেন, ফজলুল হক, আমজাদ হোসেন, খলিলুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।