ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
‘অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন’

ঢাকা: বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। কিন্তু সংবিধানে একটি ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে অন্য ধর্মালম্বীদের সম-অধিকার, মর্যাদা ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

আবার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জাতীয় সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বও নেই। তাই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে সাংবিধানিক সমতা ও জাতীয় সংসদে সব ধর্মের মানুষের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কাজল কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শিপন বাড়াইকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের প্রত্যেকের রক্তে অসাম্প্রদায়িকতা থাকা দরকার। কারণ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। এ দেশ স্বাধীন করতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা রক্ত দিয়েছেন। তাই দেশকে অসাম্প্রদায়িক না করতে পারলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও আদর্শ সফল হবে না।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সাংবিধানিক সম–অধিকার, সমমর্যাদা ও সুযোগের সমতার লড়াই অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। কিন্তু তা অনুপাতিক হারে সমান নয়। তাই আমরা সংখ্যালঘুদের জাতীয় সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আরেক সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি রেমন্ড আরেং প্রমুখ।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের নতুন কমিটিতে তিন ধর্মের তিনজনকে সভাপতি করা। তারা হলেন- সুদীপ্ত সরকার সূর্য (হিন্দু), রিন্টু বড়ুয়া (বৌদ্ধ), জেউন্স রিচার্স খাগড়া (খ্রিস্টান)। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হন শিপন বাড়াইক।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।