ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মানবিক বিভাগে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মানবিক বিভাগে

ঠাকুরগাঁও: এসএসসি পরিক্ষার্থী ফাহিম আহম্মেদ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।

কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে দেখেন, তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মানবিক বিভাগে। তাই বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেও তাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মানবিক বিভাগে। যা মেনে নিতে পারছেনা ফাহিম ও তার পরিবার।

শারিরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় রেজিস্ট্রেশনের সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পেরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভুলে ফাহিমের রেজিস্ট্রেশন হয় মানবিক বিভাগে। আবার রেজিস্ট্রেশনের পরে প্রিন্ট কপিতেও তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষরও নেওয়া হয় এমন অভিযোগ তুলছেন ফাহিম।

ফাহিমের সহপাঠিরা জানান, দুই বছরে কোনো শিক্ষক বলেনি তার রেজিস্ট্রেশন মানবিক বিভাগে হয়েছে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখাসহ ফরম ফিলাপ করা হয়েছে। ব্যবহারিক ক্লাসগুলোতেও তার সঙ্গেই করেছি। এর পরেও ফাহিম মানবিক বিভাগে কেমন করে হয়?

ভুক্তভোগী ফাহিম বলেন, দুই বছর বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করেছি। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য যে ফি দিতে হয় তা দিয়ে ফরম ফিলাপও করেছি। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে আমি মানবিক বিভাগে কিভাবে পরীক্ষা দেব?

ফাহিম আরও বলেন, বিষয়টি দেখার পরে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষক আমাকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলেন। সে কারণে বাংলা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার বিভাগ পরিবর্তন না হলে আমি মানবিকের বিষয়গুলো পাশ করতে পারবো না। একটি ভুলের কারণে আমার ১০ বছরের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পথে।

ফাহিমের মা ফাতেমা বেগম বলেন, অন্যের বাড়িতে কাজ করে ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছি। আমার ছেলের সঙ্গে এমন হয়েছে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। পরীক্ষার আগের দিন থেকে বিষয়টি জানার পরে দারে দারে ঘুরছি। আমার ছেলেকে নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি। কোন সময় কি করে বসে তা বুঝতে পারছি না। যে সময় রেজিস্ট্রেশনের কাগজে স্বাক্ষর নেয় তখন ফাহিম অসুস্থ ছিল। তারা না বলে স্বাক্ষর নিয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাধান করবে বলেছেন। সমাধান না হলে আমার ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ভুলের জন্য ফাহিম দায়ি। তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মানবিক বিভাগে। সে দেখে শুনে প্রিন্ট কপিতে স্বাক্ষর করেছে। পরিক্ষার ১০ দিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তখন সে কিছু বলেনি। পরিক্ষার আগের দিন বিষয়টি অবগত করেছে। এতে আমরাও বেশ বিব্রত। তার ইচ্ছে অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তনের জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে চেস্টা চলছে।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল হাসানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলে সংশোধনের চেস্টা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।