ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাবাকে গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেন ছেলে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
বাবাকে গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেন ছেলে

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাবাকে গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে নিহতের ছেলে আরমান শাহকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

রোববার (৭ মে) দুপুরে র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে র‌্যাবের সহযোগীতায় অভিযুক্ত আরমান শাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গ্রেপ্তার আরমান শাহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড় বেথাম গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের (৫৫) ছেলে।  

পুলিশ জানায়, গত ১৮ মার্চ রাতে আরমান শাহ তার বাবা আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে। পরে বন্ধু আশিকুর রহমান আবিরকে নিয়ে মরদেহ লুকানোর বিষয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনা করে। দুজনে মিলে লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবে। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই চিন্তায় বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখে মরদেহ। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে মরদেহ পানিতে তলিয়ে যায়।  

এদিকে আবুল হোসেনকে খুঁজে না পেয়ে দুদিন পর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন তার ভাই হিরা মিয়া।  

পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে আরমানের বন্ধু আবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবিরের দেওয়া তথ্যমতে খালের পাড় থেকে মাটিতে পুতে রাখা আবুল হেসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

এ ঘটনায় নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী রুবাহার, মেয়ে চিন্তা মনি ও আবিরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আরমান পালিয়ে যায়। পরে নিহতের বড় ভাই সোহরাব শাহ বাদী হয়ে আরমানকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রুবাহার, চিন্তা মনি ও আবিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারগারে পাঠান।

এদিকে, র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর আরমান শাহ তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছেন।  

আরমান এর আগেও একবার তার বাবাকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

পুলিশ জানিয়েছে, আরমানের নামে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা এখনো বিচারাধীন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরমানকে রোববার (৭ মে) বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।