ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা শিবিরে দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
রোহিঙ্গা শিবিরে দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত ১

কক্সবাজার: উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতীদের হামলায় দুজন হতাহত হয়েছেন। পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১১ ব্লকে ঘটনাটি ঘটে।

দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন একজন, অপরজন আহত।

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুনুর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে গুলির ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের নাম কবির আহমদ (৩৫)। তিনি কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। আহত হন নিহতের বন্ধু মোহাম্মদ রফিক (৩০)। তিনি উপজেলার লম্বাশিয়া ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের ছেলে।

কেন কি কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে এপিবিএন পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাতে ছৈয়দ হারুনুর রশীদ বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১১ ব্লকে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারীরা আগে কবির আহমদের হাত-মুখ বেঁধে কয়েকটি গুলি করে। এ সময় কবিরের বন্ধু মোহাম্মদ রফিকও গুলিবিদ্ধ হন।

গোলাগুলির খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির ও রফিককে উদ্ধার করে স্থানীয় আইওএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কবিরকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।