ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হেলমেট নিয়ে প্রশ্ন, বিএসটিআই-বিআরটিএ’র উত্তর পাননি ইলিয়াস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
হেলমেট নিয়ে প্রশ্ন, বিএসটিআই-বিআরটিএ’র উত্তর পাননি ইলিয়াস

ঢাকা: ব্র্যাক ও বিশ্বব্যাংকের আয়োজনে জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ও বক্তাদের উদ্দেশ্যে ‘হেলমেট পরতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে দায়িত্ব কার’ প্রশ্নটি করেছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু কেউ তাদের সদুত্তর দিতে পারেনি।

রোববার (২১ মে) রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন ব্র্যাক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তারাও।

নিজ বক্তব্যে নিসচার চেয়ারম্যান বিআরটিএ-বিএসটিআইসহ দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। আইন প্রয়োগের দিক থেকে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা কাজ করছেন। কিন্তু এ সচেতনতা বৃদ্ধির দায়িত্ব কার?

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রশ্নের এ উত্তর দিতে পারেনি কোনো বিএসটিআই-বিআরটিএ’র দায়িত্বশীল কেউ।

পরে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বর্তমানে বাজারে মানহীন-মানসম্মত দুই ধরনের হেলমেট রয়েছে। কিন্তু এসব হেলমেট কতদিন ব্যবহার করা যাবে, কতদিন পর আর (লাইফটাইম) ব্যবহার করা যাবে না তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ নিয়ে একটা নির্দেশনা প্রয়োজন।  

আগের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম না হলেও নিসচা চেয়ারম্যানের এ কথায় তাল মিলিয়ে বিএসটিআই মহাপরিচালক মো আবদুস সাত্তার বলেন, বাজারে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে মানসম্মত হেলমেট পাওয়া যায়। যে যার পছন্দ অনুযায়ী ক্রয় করতে পারেন। তবে এসব হেলমেটেরও একটা লাইফ টাইম থাকা প্রয়োজন। কতদিন পর আর এ হেলমেট ব্যবহার করা যাবে না, তা নির্ধারণ করা দরকার। বাজারে মানহীন বহু হেলমেট রয়েছে তাও খেয়াল রাখতে হবে।

ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইন বলেন, আমাদের সচেতনতায় কাজ করতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতন করা গেলেই দুর্ঘটনা কমে আসবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২ থেকে ৫ কোটি মানুষ আহত হয়। আহতদের অনেকে স্থায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। পৃথিবীর মোট যানবাহনের প্রায় ৬০ ভাগ রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। দুর্ঘটনার ৯৩ শতাংশই ঘটে এসব দেশে। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের ৪ জনের একজন পথচারী বা সাইকেল আরোহী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।

সপ্তমবারের মতো এবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ। এ বছর এই উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২১ মে সময়কালের সপ্তাহটিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে এই ক্যাম্পেইনে হ্যাশট্যাগ রিথিঙ্ক মবিলিটি (#Rethink Mobility), হ্যাশট্যাগ স্ট্রিটস ফর লাইফ (#StreetsforLife), হ্যাশট্যাগ রোড সেফটি (#RoadSafety) ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।