ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করে না’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
‘বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করে না’ 

ফেনী:  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

বাংলাদেশ এখন শিক্ষা, অবকাঠামো এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কোনো নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করে না বাংলাদেশ।  

রোববার (২১ মে) বিকেলে ফেনীর বিলোনীয়া স্থল বন্দরের উদ্ভোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হয়ে বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন।  

এসময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভুল স্বপ্ন দেখছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে না৷ লন্ডন থেকে বাংলাদেশ জ্বালিয়ে দিওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এ ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।

বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেনী -১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান।  

অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারমান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল।

বিলোনীয়া স্থল বন্দরটি জেলার পরশুরাম উপজেলার বিলোনীয়া সীমান্তে অবস্থিত। এ বন্দরের বিপরীতে ভারতরে ত্রিপুরা রাজ্যের মুহুরী ঘাট শুল্ক স্টেশন অবস্থিত।  

এ অঞ্চলের সঙ্গে দুই দেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করার জন্য ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিলোনীয়া শুল্ক স্টেশনকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির ওপর এ বন্দর নির্মাণ হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আপত্তির কারণে তিন একর জমির মধ্যে অবকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।  

গেল ২০১৮ সালে বিলোনিয়া স্থল বন্দর একনেকে ৩৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার অনুমতি মিললে ২০২০ সালে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দশ একর জায়গার ওপর বন্দর নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেবি টপ লাইনের ফয়সাল আহমেদ কাজ শুরু করতে গেলে ভারতের সীমান্ত ফোর্স (বিএসএফ) নির্মাণ কাজে বাধা দেয়।

বেশ কয়েক দিন কাজ বন্ধ থাকার পর নোম্যান্স ল্যান্ডের বিতর্ক থাকায় ১০ একরের মধ্যে ৭ একর বাদ দিয়ে ৩ একরে বরাদ্দ কমিয়ে ১১ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালে শেষ হয়ে আজ বন্দর উদ্ভোধন করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার চুক্তি থাকলেও বিএসএফের বাধা ও করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকায় ৪ বছরে লোকশান দিয়ে কাজটি করতে হয় বলে ঠিকাদার ফয়সাল সমকালকে জানান।

বিলোনিয়া স্থল বন্দর কর্তপক্ষের প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো: সাহাবুদ্দিন জানান, বিএসএফের বাধার কারণে ৮০ হাজার স্কয়ার ফুটের গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ড, ওয়ার্চ টাওয়ার, মসজিদ, ড্রেন, বাউন্ডার নির্মাণ বন্ধ রয়েছে।

সংকুচিত ৩ একরের মধ্যে নির্মিত বন্দরের ভেতর ৫০টি গাডি রাখার ইয়ার্ড, ওজন স্কেল, কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সীমিত আকারে সাময়িক কাজ শুরু করতে আজ এর উদ্ভোধন করা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান হলে বাকি ৭ একরের মধ্যে অন্য স্থাপনাগুলো নির্মাণ করে পুরোদমে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করা হবে।  

বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, এই স্থল বন্দর দিয়ে বাংলদেশসহ ভারত,নেপাল,ভুটানের মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পণ্যগুলো আমদানি-রপ্তানি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এসএইচডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।