ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাজিরবাজার ট্র্যাজেডি

সড়কে লাশের সারি রেখে পালিয়ে যান চালক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
সড়কে লাশের সারি রেখে পালিয়ে যান চালক

সিলেট: সেদিন সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মরদেহ। একে একে ১১ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী।

গুরুতর আহত হন অনেকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে যায়।  

সিলেটের নাজিরবাজার ট্র্যাজেডিতে এত মানুষের মরদেহ দেখে বুক কেঁপে ওঠে প্রত্যক্ষদর্শীদের। তবে আহতদের আর্তনাদ দেখে সড়কে মরদেহের সারি রেখেই পালিয়ে যান দুর্ঘটনায় দায়ী মালবাহী ট্রাকের চালক শফিকুল ইসলাম (২৭)।  

শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী সদর থানা থেকে ট্রাকচালক মো. শফিকুল ইসলামকে আটক দেখায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার নয়াপাড়া মোকসেদপুর এলাকার মো. মিস্টার মিয়ার ছেলে।

গত বুধবার সিলেটে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাঁচামাল (আলু) বহনকারী ট্রাক এবং শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ট্রাকের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।  

নিহতদের ১৩ জনই সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা, একজন সিলেট নগরের বাসিন্দা এবং আরেকজনের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। হতাহতদের সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। ঘটনা পরদিন নিহত শ্রমিক দিরাইয়ের সাহেদ নুরের ছেলে ইজাজুলকে বাদী করে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা নেয় পুলিশ।  

আটক শফিকুল শফিকুল ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় র‌্যাব ৯। পরে তাকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক (জিডিপি) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩

এনইউ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।