ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ‘খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্য সীমাবদ্ধ’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা।  

সম্প্রতি ড. শাহনাজ হুদার সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে সভা স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. সীমা জামান।

 

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সালওয়া তাবাসসুম হক এবং প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসাইন।

সভায় আরও অংশ নেন আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ মানবাধিকারকর্মী এবং আইনজীবীরা।

এ সময় সভায় মতপ্রকাশ, গোপনীয়তা ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ নাগরিকদের উপাত্তের ও গোপনীয়তা সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ (সিএএলএস), আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সালওয়া তাবাসসুম হক মূল প্রবন্ধে বলেন, অনেক সময় নারী বা শিশুর ওপর নির্যাতন বা হয়রানির ভিডিও করে বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এরকম কোনো ভিডিও করলে নারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হয়। এনিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। বিচার কাজে এখন অনেক দেশেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার দেখা যায়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোনো প্রেক্ষাপট বুঝতে পারে না। ডিজিটাল ডেটাবেজে কোনো ফাঁক থেকে গেলে তার আউটপুটে ভুল ফলাফল দিতে পারে। সর্বোপরি এ ধরনের ফলাফল আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইউরোপের জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) ধারা ২২ এর মতো কিছু আমাদের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ বলেন, আর্টিকেল ৪৩ (বি) অনুসারে সব নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। এটা একটা সাংবিধানিক অধিকার, যার সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার অধিকার সরাসরি জড়িত। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকদের উপাত্তের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা। উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, রাষ্ট্র নাগরিকদের সৃষ্ট উপাত্ত বিশ্লেষণ করে, নতুন নতুন সরকারি সেবা দিতে সক্ষম হবে। তাছাড়া সরকারের নীতি প্রণয়নে ও অন্যান্য সিদ্বান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর হবে, যা বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য। সুতরাং ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। তবে বর্তমান খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইনে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার আইনি কাঠামো খুব একটা শক্ত বা জোরালো নয়।

তিনি বলেন, নাগরিকদের উপাত্তের সুরক্ষার জায়গাটা অনেকাংশে দুর্বল যা আমাদের আর্টিকেল ৩১ ও ৪৩ বি প্রদত্ত সংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে বলে প্রতীয়মান। নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে আমাদের একটি বলিষ্ঠ ও আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত একটি উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রয়োজন, যা নাগরিকদের উপাত্ত সুরক্ষার, মানবাধিকার, আইনি প্রতিকার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে। এর পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ও অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।