ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জে তথ্য চাওয়ায় ৫ সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
গোবিন্দগঞ্জে তথ্য চাওয়ায় ৫ সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে তথ্য চাওয়ায় ৫ সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী ইদগাঁহ মাঠ আলিম মাদরাসায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন, মশিউর রহমান বাবু (মাইটিভি), শাহিন আলম (দৈনিক সকলের সময় ও খোলা কাগজ) ফরহাদ হোসেন ফিটুল (দৈনিক নবরাজ), জোদাইদুর রহমান সাগর (দৈনিক আজকের জনগণ) ও আবু তারেক (দৈনিক সময়ের কণ্ঠ)।

তারা জানান, শোলাগাড়ী ইদগাঁহ মাঠ আলিম মাদরাসার দপ্তরি রিপন পারিবারিক একটি মামলায় প্রায় ৩ মাস ধরে কারাবন্দি থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা পাচ্ছেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মাদরাসায় তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিকরা।

সেখানে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিনহাজ উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে এবং ক্যামেরায় ভিডিও বক্তব্য চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে কারাবন্দি নৈশপ্রহরী রিপনের বাবা রফিকুল ইসলাম অন্যান্য শিক্ষকরা সাংবাদিকদের মারধর করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  

আহতদের মধ্যে আবু তারেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মিনহাজ উদ্দিনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।