ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পঁচাত্তরের মতো অবস্থা সৃষ্টির জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
‘পঁচাত্তরের মতো অবস্থা সৃষ্টির জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে’

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগে আমরা যে ধরনের অবস্থা দেখেছিলাম, এখনও সেই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আগে দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। একটার পর একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। বহু বিদেশিরা বাংলাদেশে আনাগোনা করেন। কিসিঞ্জার সাহেবও (সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার) ঢাকা শহরে ঘুরে যান। অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আজকের বাংলাদেশে সে ধরনের একটা অস্থিতিশীলতা আমরা দেখি। সেই সময়ের সাথে একটা সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ইজ্জত বাড়িয়েছেন। এত সব করার পরও বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগে আমরা যে ধরনের অবস্থা দেখেছিলাম; মনে হয়, এখনও সেই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে। মনে হচ্ছে, একটা কঠিন সময় আসছে।

১৯৭৪ সালের আলোচিত বাসন্তীর ছবির উদাহরণ টেনে ড. মোমেন বলেন, এখন বিভিন্ন ধরনের অপ্রচার হচ্ছে। তখন একটি বাসন্তীর অপপ্রচার হয়েছে। এখন শত শত বাসন্তীর খবর আমরা পাই। কিন্তু আমার খুব দুঃখ হয়, এসব অপপ্রচার মিথ্যা। কিন্তু তার যথেষ্ট উত্তর আমরা এখনও দিতে পারি না। অপপ্রচারগুলো বন্ধ করতে হবে। অপপ্রচার রোধে আমাদের কোথাও দুর্বলতা রয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নাই। তবুও কোথাও জানি অসুবিধা আছে। এগুলো আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা কোনোভাবেই ’৭৫-এর পুনরাবৃত্তি চাই না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু  হত্যাকাণ্ডের পর অনেকেই মনে করেছিলেন, এই হত্যাকাণ্ড পরিবারকেন্দ্রিক। তবে পরে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়, এটা পরিবারকেন্দ্রিক নয়। এটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা কোনোভাবেই মাঠের আন্দোলনকে ভয় পাই না।  তবে বিএনপি মাঠের আন্দোলনে পরাজিত বলেই আজ বিদেশি শক্তির ওপর ভর করছে। বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে আমাদের আগে সম্মান কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে, সেটা সকলেই জানেন। এই সম্মান হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। আমাদের দেশ ছোট হলেও শেখ হাসিনা অনেক বড় নেতা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।