ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলেন মিরা রেজনিক

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলেন মিরা রেজনিক পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মিরা রেজনিক

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মিরা রেজনিক।  

মাসুদ বিন মোমেন জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর, প্রধানমন্ত্রীও সে কথা বলেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন বাকি কাজগুলো করছে। কমিশনের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়েও তারা রাজি।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে সব ধরনের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ইন্দো প্যাসিফিক ইস্যু আছে। তারা চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক যেন আরও গভীরতর হয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সব দিকেই। আমরাও চাইছি তাদের সঙ্গে সম্পর্কে যেন কোনো গ্যাপ না থাকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে সরাসরি জিসোমিয়া-আকসা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রতিরক্ষা সংলাপে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে আমরা বলেছি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি নিয়ে কাজ আছে। আপনারা জানেন যে, কৌশলগত সংলাপে জাপানও আমাদের কনসিডার করছে, তাদের অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্সে আমাদের তারা ক্যান্ডিডেট কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুতরাং বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি। আগামীতে তাদের সঙ্গেও সেভাবেই আলোচনা হবে বলে আমরা আশা রাখি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে তারা আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি, প্রতিটি হিউম্যান রাইটস ইস্যু নিয়ে যে অভিযোগ আসে, যে প্রতিবেদন আসে, প্রতিটিকেই আমরা খুব সহজেই নিই। আমরা বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে সেগুলোর উত্তর বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেই। আমরা আমাদের দেশে কোনো ইম্যুনিটির সুযোগ রাখি না। আমাদের প্রতিটি বাহিনীর এসওপি আছে। একটা গুলি খরচ করলেও জবাবদিহি করতে হয়। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় সবসময় সরকার যে ইনভলব থাকে, তা তো নয়।  

তিনি বলেন, আমরা কিছু দিন আগে দেখেছি যে, গাজীপুরে একজন শ্রমিকনেতা মারা গেলেন, সেখানে তো সরকারের কিছু করার নেই, তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের তো জবাবদিহির বিষয় থাকে। আমাদের ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি দেশ, সেখানে তো এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমাদের বাহিনীর কেউ কিছু করলে এসওপি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। আমরা র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। তাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে সেটি আছে। এ নিয়ে আমরা সজাগ আছি, এখানে দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) চায় না, ইন্দো প্যাসিফিকে কোনো সুনির্দিষ্ট একটি দেশ আধিপত্য বিস্তার করুক, তারা চায় সমুদ্র অবাধ ও মুক্ত থাকুক।

এর আগে, সকালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম বার্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মিরা রেজনিক।

বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা ও  সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়।

গত বছর এপ্রিলে ওয়াশিংটনে দুই দেশের মধ্যে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ঢাকায় নবম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ 
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।