ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে তীব্র যানজট, ভোগান্তি হয় সকাল-বিকেলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে তীব্র যানজট, ভোগান্তি হয় সকাল-বিকেলে

ঢাকা: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর থেকে রাজধানীর বিজয় সরণিতে তীব্র যানজটের মুখোমুখি হচ্ছেন যাত্রীরা। আগে থেকেই সেখানে জ্যাম থাকলেও বর্তমানে গাড়ির চাপ আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য সাধারণ জনগণের।

তাদের ভাষ্যমতে, সকাল থেকেই তেজগাঁও, বিজয় সরণি অংশে এক্সপ্রেসওয়ের নিচে যানজট দেখা যাচ্ছে আগের থেকে আরও কিছুটা বেশি।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এ বিজয়নগর সরণি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সকাল থেকেই বিজয় সরণি ও তেজগাঁও রোডে এক্সপ্রেসওয়ের মুখে বেশ যানজট ছিল।

ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ছাড়া কোনো গণপরিবহন এই উড়ালসড়কটি ব্যবহার করছে না। আর সিএনজি-মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি নেই নতুন খুলে দেওয়া সেই উড়ালসড়কটিতে। ফলে সেসব গাড়ির চাপ সেতুতে ওঠার মুখে বিজয় সরণি এলাকায় আরও কিছুটা জ্যাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন অনেক মানুষ।

আলী হাসান নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে উঠার র‍্যাম্প কাছে থাকায় বিজয় সরণীতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ তৈরি হয়েছে। একইভাবে ফার্মগেইট অংশে র‍্যাম্প দিয়ে গাড়িগুলো নেমে আগে থেকে সৃষ্টি জটের মধ্যে পড়ছে। আবার বনানীতে সড়ক ভবনের পাশেই একটি ওঠার র‍্যাম্প আছে। সেটিতে কাজ চলছে। যার কারণে ওই অংশের গাড়িগুলো ওপরে উঠতে পারছে না। এর কারণে মোটামুটি বনানি ও মহাখালীর এই রাস্তাতেও আগের মতোই যানজট থাকছে।

এদিকে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর বিমানবন্দর সড়ক থেকে বনানি পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির চাপ কিছুটা কম থাকবে বলে আশা করা হলেও সেটি হয়নি। বরং আগের মতোই রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে বনানি থেকে মহাখালী ও তেজগাঁও হয়ে মগবাজার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সময়।

যাত্রীদের দাবি, এই এক্সপ্রেসওয়ের থেকে গণপরিবহন কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না। যার ফলে আগে যেমন ছিল তেমনই আছে। গণপরিবহন যদি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে, তবে তারা নিচের যাত্রী পাবে না। নির্দিষ্ট স্থান থেকে উঠতে বা নামতে হবে। অন্যদিকে মোটরসাইকেল ও সিএনজি না চলার জন্য নিচের রাস্তায় আগেই মতোই একই পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে।

ফার্মগেইট থেকে এয়ারপোর্টগামী যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, বাসা থেকে বের হয়েই দেখি রাস্তায় তীব্র যানজট। এক্সপ্রেসওয়ে চালুতে ভেবেছিলাম হয়ত রাস্তায় যানজট কম থাকবে। পরে দেখি লোকাল বাস একটাও ওপরে ওঠে না।

গণপরিবহন ওপরে না উঠলে কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করে আরেক যাত্রী শাহেদুল ইসলাম বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার চালু না হলে এখন গণপরিবহনে যাতায়াত করা যাত্রীরা কোনো সুবিধা পাবেন না।

যদিও বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই বলে আসছিলেন, এই প্রকল্প চালু হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এইচএমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।