ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিজিটাল-সাইবার নিরাপত্তা আইনের পার্থক্য জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
ডিজিটাল-সাইবার নিরাপত্তা আইনের পার্থক্য জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা আইনের পার্থক্য কি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।

১১ অক্টোবর বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আমার সঙ্গে তাদের যে বিষয়ে কথা হয়েছে সেটা হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের পরিবর্তে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে। আমি উনাদেরকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অবাধ নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে ।  

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমি তাদেরকে এ কথাও বলেছি, বর্তমান সরকার অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে যে আইন আমরা করেছি, তা এই উপমহাদেশের কোথাও নেই এবং আমাদের দেশেও গত ৫০ বছর ছিল না।  

দুই. নির্বাচন কমিশনার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইনত কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল, সেই আইনের পরিবর্তনও করা হয়েছে। আমি তাদেরকে এটাও বলেছি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর নির্বাচন সংক্রান্ত অফিস এবং ডিপার্টমেন্ট নির্বাচন কমিশনের অধিনে চলে যায়। এই তিনটা বিষয় দেখলেই বোঝা যায়, এই সরকার দেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটাই চায়।  

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাদের প্রশ্নের ধারায়, আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, অনান্য দলের সঙ্গে তারা যেসব আলোচনা করেছেন, সেখানে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিষয়েও আলাপ আলোচনা হয়েছে।  

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিষয়ে তাদের বক্তব্য কি ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। আমি তাদেরকে সেই পার্থক্যর কথা পরিষ্কার ভাবে বলেছি। আমাকে তারা কোন সাজেশন দেননি। নির্বাচন কেন্দ্রিক কিছু তারা আমার কাছে জানতে চাননি। উনারা যেটা জানতে চেয়েছেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমন্ধে, উনারা জুডিশিয়ারি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তাদের বলেছি। উনারা কেস ব্যাকলক বা মামলা জট সমন্ধে জানতে চেয়েছেন। সেটাও আমি তাদেরকে বলেছি। নির্বাচন বিষয়ে কোন সংলাপ হবে কিনা তারা জানতে চাননি।  

নির্বাচনে কেউ আসবেন কি আসবেন না এমন কোন আশংকা রয়েছে কি না তাদের এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন,  আমি তাদের বলেছি প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার চায় সকল দল নির্বাচনে আসুক, কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা সেই দলের ব্যাপার।  

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
আরকেআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।