ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গবেষণার জন্য ৩ বছর পর তোলা হচ্ছে সেই তিমির কঙ্কাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
গবেষণার জন্য ৩ বছর পর তোলা হচ্ছে সেই তিমির কঙ্কাল গবেষণার জন্য তিমির কঙ্কাল।

কক্সবাজার: কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে প্রায় তিন বছর আগে পুঁতে ফেলা মরা তিমির কঙ্কাল অবশেষে তোলা হচ্ছে।

শিক্ষা ও গবেষণায় কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) তিমির কঙ্কালটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

কঙ্কালটি উত্তোলনের পর বোরিতে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বোরির বিজ্ঞানীরা সেই তিমির কঙ্কালের খোঁজে হিমছড়ি সৈকতে খনন কাজ শুরু করেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত  ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পুরোপুরি খনন কাজ শেষ করে তিমিটির কঙ্কাল সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া।  

তিনি বলেন, আলাদা আলাদা হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে কঙ্কালের পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে।

২০২১ সালের ১০ এপ্রিল সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ৪৪ ফুট দীর্ঘ এই মরা তিমিটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। এরপর বনকর্মীরা তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলে। এর আগের দিন ৯ এপ্রিল একই সৈকতের চার কিলোমিটার উত্তরে দরিয়ানগরে আরও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ৪৮ ফুট দীর্ঘ সেই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়।

বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রতিবেদনে তিমি দুটি ব্রাইড’স হুয়েল বা বলিনো পেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে চিহ্নিত হয়েছে। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ লিঙ্গের বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সারওয়ার আলম জানান, গবেষণা কাজে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ তিমি দুটির কঙ্কাল উত্তোলনের জন্য বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিমি দুটির কঙ্কাল দুই প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বোরি তাদের বরাদ্দ করা তিমিটির কঙ্কাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কাল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।

এদিকে গত বছরের ১৮ এপ্রিল কলাতলী সমুদ্রসৈকতেও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ব্রাইড’স হুয়েল প্রজাতির এ তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।