ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নড়বড়ে কাঠের সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
নড়বড়ে কাঠের সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

মাদারীপুর: মাদারীপুরের ডাসারে একটি কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। তবে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের।

সেতুটি নিয়ে ডাসার উপজেলার শশিকর চৌমহনী এলাকাসহ কয়েক গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে।

জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর খুঁটি হিসেবে লোহার পাইপ এবং ওপরে কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কাঠের পাটাতন পচন ধরার পাশাপাশি লোহার খুঁটি হেলে গিয়েছে। ফলে কিছুটা কাত হয়ে আছে সেতুটি। তাছাড়া সেতুতে কোনো রেলিং নেই। একটি বড় খালের ওপর নির্মিত সেতুটি কয়েক গ্রামের মানুষের ডাসার-কালকিনি উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ! যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে পানিতে খালটি ভরে যায়। তখন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।  

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিনই ব্যাটারিচালিত ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। হাজারো মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সেতুটি বর্তমানে জনদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। সেতুটি দিয়ে যাতায়াতের সময় নড়ে ওঠে, মনে হয় ভেঙে পড়বে! এ অবস্থায় দ্রুত সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।  

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মজুমদার নামে এক যুবক বলেন, আমাদের শশিকরের চৌমুহনী ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কাঠের ব্রিজটি হেলে গেছে। ওপরের পাটাতনের কাঠ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন কাঠের ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।  

ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন,ব্রিজটি অনেক পুরোনো। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজটির লোহার পিলার খালের মধ্যে নুয়ে পড়ছে। ওপরের পাটাতনের কাঠও ঠিক নেই। গ্রামের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এখানে নতুন একটি ব্রিজ খুবই জরুরি। আমি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।  

এ বিষয়ে ডাসার উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবটি পাস হয়ে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।