ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফোরলেনের কাজ: ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৩ কিমি সড়ক

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
ফোরলেনের কাজ: ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৩ কিমি সড়ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ধূলোয় অন্ধকার চারদিক। সড়কজুড়ে উড়তে থাকা ধূলোর স্তর ভেদ করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় যানবাহন।

আবার বৃষ্টির দিনে সেই দুর্ভোগ যেন আরও বাড়ে। কাদামাখা সড়ক মারিয়েই দিতে হচ্ছে পথ পাড়ি।  

ঈদযাত্রায় এখন গলার কাঁটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক।  

আশুগঞ্জ-আখাউড়া জাতীয় ফোরলেন মহাসড়ক নির্মাণকে ঘিরে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট সড়কে এ দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। এতে যানজটসহ নানা ভোগান্তির শিকার চলাচলকারীরা।
 
ঈদযাত্রাকে ঘিরে এ দুই সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে ৫০.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পের ১৩ কিলোমিটার সড়ক এখন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। এতে বিভিন্ন সময়ে যানজটের পাশাপাশি ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে বাহনগুলোকে। এছাড়া ধূলাবালুর কারণে হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।  

যাত্রীরা জানান, সীমাহীন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া চলমান ধীরগতি কাজের জন্য সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় খানাখন্দের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে সময় নষ্ট হচ্ছে।

যানবাহনের চালকরা জানান, দুদিন পরেই ঈদ। সেজন্য গাড়ির চাপও বেড়েছে। তবে বেহাল সড়কের কারণে নির্ধারিত সময়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হচ্ছে।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া ফোরলেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, প্রকল্পের অধীন ঢাক-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ৩৮ কিলোমিটার অংশ রয়েছে। সম্প্রতি দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় ২৫ কিলোমিটার একপাশে টুলেন সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধূলাবালুর কারণে প্রতিনিয়ত পানি দেওয়া হচ্ছে।  

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. সালাউদ্দিন মোল্লা জানান, যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্ট চিহ্নিত করে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতির কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। ভারতীয় ঋণ সহায়তা এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে সড়কটি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।