ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দালালসহ আটক ২২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দালালসহ আটক ২২

দিনাজপুর: দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তিন নারী দালালসহ ২২ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।  

রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

দুপুর আড়াইটায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

আটক ২২ জন হলেন- দিনাজপুর সদর উপজেলার করিমুল্লাহপুর আদর্শপাড়ার রোজিনা খাতুন রুনা (৩০), পাক পাহাড়পুরের শাহানা বেগম (৩৪), বালুবাড়ী নিমকালী মন্দির এলাকার বৃষ্টি (২৪), উপশহরের ৭ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আশরাফুল আলম (৩২), একই এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৩৩), মোস্তাক আহমেদ (৩০), হাবিবুল আরেফিন সোহাগ (২৯) ও রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৬), উপশহরের ৮ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান (৩৬), একই এলাকার আয়নাল হোসাইন (৩৪) ও মাসুম বিল্লাহ (৩২), হাউজিংমোড় বিশ্বনাথপুর এলাকার শাহিন জামান (৩৫), উপশহরের শেখপুরা এলাকার বাসিন্দা শাওন মণ্ডল (৩০), ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয়ন (২৭), পাহাড়পুর ইকবাল স্কুল মোড়ের ইদুল রহমান (২৯), মহতুল্লাপাড় গাজারমারী এলাকার হাসিবুল আল আসাদ (৩০), হাউজিং মোড়ের মোরসালিন ইসলাম (২৫), খোসমাধবপুর এলাকার আনিসুর রহমান (৪০), ভবাইনগর সোনাহারপাড়ার আরেফিন আলী (৪০), বিরল উপজেলার বসন্তপুর এলাকার রাশেদ আলী (৪০) ও একই উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী এলাকার তমাল রায় (২৬) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার তাজপুর উত্তরপাড়ার নাহিদ হাসান (২৪)।  

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার রোগীরা এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু এখানে কিছু দালাল রোগীর স্বজনদের বাইরের ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা করানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। এছাড়া কিছু ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিও প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিরক্ত করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ আসে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করা হয়। তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) এএফএম মনিরুজ্জামান মণ্ডল, উপপরিদর্শক (এসআই) শামীমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।