ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তরুণীকে শপিংয়ের জন্য ডেকে প্রেমিকের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৪
তরুণীকে শপিংয়ের জন্য ডেকে প্রেমিকের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক পোশাককর্মীকে ঈদের শপিং করে দেওয়ার প্রলোভনে ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। তার কথিত প্রেমিকের নেতৃত্বে এই পাশবিকতা চালানো হয়েছে।

এমনকি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এ নিয়ে ব্লাকমেইল করে ওই তরুণীর কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী তরুণী ফতুল্লা মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে তার কথিত প্রেমিক আবু হাসান, তার সহযোগী শিবলু (২৫), শাকিল (২৯) ও সুমনকে (২৮) আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) সকালে শিবলু ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার অভিযোগে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, ফতুল্লার বিসিকে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি ও আবু হাসান। সেখানে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ মার্চ রাতে রোজার ঈদের শপিং করে দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে ফতুল্লার পঞ্চবটি ডেকে নেন আবু হাসান। পঞ্চবটি গিয়ে দেখেন আবু হাসান নেই, তার দুই বন্ধু শিবলু ও শাকিল সেখানে। তারা দুজন তরুণীকে আবু হাসানের কথা বলে চাষাঢ়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ খাওয়ান শিবলু ও শাকিল। এরপর ওই তরুণী অচেতনের মত হয়ে যান।  

পরে তাকে শিবলুর পঞ্চবটির গুলশান রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে প্রথমে আবু হাসান, পরে পর্যায়ক্রমে শিবলু ও শাকিল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পাশাপাশি এই পাশবিকতার ভিডিও ধারণ করা হয়। সে সময় সুমন বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। ধর্ষণ শেষে তারা তরুণীকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিলে তিনি বাসায় চলে যান।  

এরপর থেকে অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখাতে থাকেন এবং ব্লাকমেইলিং করে ওই তরুণীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। এর মধ্যে দুই দফায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল এক লাখ টাকায় বেচে তাদের দিয়েছেন ভুক্তভোগী তরুণী। তারপর আরও ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্তরা।  

পরে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) অভিযুক্তরা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি তার আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানান। এরপর স্বজনরা তাকে থানায় নিয়ে বিষয়টি জানালে অভিযোগ আমলে নেয় পুলিশ। একই সঙ্গে অভিযানে গিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৪
এমআরপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।