ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে পানি কমলেও যমুনাসহ ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
টাঙ্গাইলে পানি কমলেও যমুনাসহ ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ছয় উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। অনেকে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। আবার অনেক ফসল ও সবজি নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন বন্যার্তরা।  

এদিকে, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) জানান, বন্যা কবলিত প্রতি উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে জিআরের চাল, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে জেলার ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভূঞাপুর, নাগরপুর ও বাসাইলে অন্তত ছয়টি কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জেলায় ৪ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমির ফসল ও সবজি নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। সদর উপজেলার প্রায় দেড় হাজার পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে ক্ষতি হয়েছে। অনেকেরই সবজিসহ ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। কাঁচা রাস্তা পাকা করাসহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বন্যার্তরা।

সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা গ্রামের আসমা বেগম বলেন, আমার সবজি বাগান, ধান ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে আমাদের গ্রামের শত শত মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমার গ্রামের কাঁচা সড়কটি উঁচু করে পাকা করা হলে মানুষের অনেক উপকার হবে।
কালিহাতীর মগড়া গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, বন্যার কারণে আমরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে আছি। ঘাস না পেয়ে ভুসি, খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। এতে আমাদের

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অনেকের পাট ও আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে।
ডিসি মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ছয় উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে জিআরের চাল, দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, নৌকা ও সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ ও আরও ত্রাণ সহযোগিতা পেতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পানির উচ্চতা কমে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।