ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির

ঢাকা: শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়ার দাবি করছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ দাবি তোলা হয়।

সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৮ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লবের সঞ্চালনায় বিভিন্ন আলোচ্যসূচির উপর বক্তব্য রাখেন  সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অমৃত কারণ, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আমির হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক আসমান আলী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকাশ বৈদ্য, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকার, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য ওসমান গনি ও রফিকুল ইসলাম জাহিদ।

সভায় সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন কেবল এক হাজার টাকা, উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। যা নিতান্তই পরিহাসের। এ ধরনের অপনীতি শিক্ষকবিরোধীই নই, শিক্ষাবিরোধীও বটে। প্রতিবছর বাজেট উপস্থাপন দেখলে এ দেশকে গরিব বলার কোনো কারণ নেই। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। অথচ শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। এটা মুখরোচক বুলি ছাড়া আর কিছুই না। দুঃখজনক হলেও বলতে হয় ৯৬ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে কেবল আবেদনকারী ২৪ হাজার। এতো বেকারত্বের মধ্যেও শিক্ষিত বেকাররা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাচ্ছেন না। তার কারণ বেতন বৈষম্য, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার অভাব।

বিগত সরকারগুলো এসব সমস্যা-সমাধানে আন্তরিক ছিলেন না। আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে শিক্ষকদের জীবন-জীবিকা, মর্যাদার বিষয়ে গুরুত্ব দেবে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে বেতন-ভাতা বৈষম্য দূর করে শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে একটি টেকসই জাতি গড়ে তুলবেন।

সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বলেন, শিক্ষকরা এখনও নাজেহাল হচ্ছেন, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যা খুবই হতাশাজনক। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষকরা যুগ যুগ ধরে নির্যাতন হবার ধারাবাহিকতাও এ নির্যাতনের একটা মাত্রা। এ নির্যাতন শুরু হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে ম্যানেজিং কমিটি পর্যন্ত। ফলে ম্যানেজিং কমিটির অরাজকতা মেনে নেওয়া যাবে না, এ প্রথা বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।