ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাকরাইল মসজিদ নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
কাকরাইল মসজিদ নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দাবি

ঢাকা: কাকরাইল মার্কাজ সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।  

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাওলানা ‘জোবায়েরপন্থিদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে দাওয়াত ও তাবলিগের ওলামায়েকেরাম এবং সাথীরা।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কাকরাইল মার্কাজের ইমাম মুফতি মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ সকাল থেকে কাকরাইল মার্কাজে তাবলিগের মূলধারার সাথীদের আ’মাল শুরু হবে। কিন্তু তাবলিগের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন ‘জোবায়েরপন্থিরা’ গত ৫ নভেম্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘোষণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারের নিয়ম ভেঙে কাকরাইল মার্কাজ মূলধারার সাথীদের কাছে হস্তান্তর না করে নিজেদের দখলে রাখার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র ও সরলমনা তাবলিগের সাথীদের উসকানি দিয়ে জড়ো করছে।  

এছাড়াও তাদের করা গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিষয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তারা বলেছেন, কাকরাইল মার্কাজ একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে যার নাম- ‘বাংলাদেশ তাবলিগ মার্কাজ ট্রাস্ট’। মাওলানা জোবায়ের সাহেব স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ‘দিল্লী নিজামউদ্দিন মার্কাজের অনুমতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশে ইহাই একমাত্র তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠান। ’ এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এই ট্রাস্ট বিশ্ব মার্কাজ নিজামুদ্দীনের একটি শাখা। অবাক করার বিষয় হলো; ঘোষণা দিয়ে নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ থেকে যারা নিজেদেরকে ‘আলাদা গ্রুপের’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন, তারা কিছু রাজনৈতিক উলামার প্রশ্রয় ও সমর্থনে সেই নিজামুদ্দীনের মার্কাজকেই দখলে নিতে চান।

এসময় তিনি বলেন, কাকরাইল মার্কাজ নিজামুদ্দীনের বাংলাদেশ শাখা। এর ওপর সম্পূর্ণ অধিকার বিশ্ব মার্কাজ নিজামুদ্দীনের। দেশের আইন অনুযায়ী কাকরাইল মার্কাজ নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। তবুও যদি কেউ আমাদের সম্পদ এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে- সেটা হবে তাদের জন্য অনেক বড়ো ভুল।


এসময় তিনি তাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো: 

১) দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহিংসতা এবং পারস্পরিক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ পরিহার করে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; 

২) কাকরাইল মার্কাজ সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দিতে হবে; 

৩) টঙ্গী ইজতেমার বৈষম্য দূর করে এই ইজতেমায় নিজামুদ্দীনের অনুসারীদেরকে প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে দিতে হবে; 

৪) বিশ্ব ইজতিমার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাবলিগের বিশ্ব আমির হজরত মাওলানা সা’দ সাহেবের ইজতিমায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে; 

৫) দেশের সব মসজিদে তাবলিগের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা উভয়পক্ষের জন্য নিশ্চিত করতে হবে; 

৬) উভয়পক্ষের জন্য স্থায়ীভাবে মার্কাজ পরিচালনার বন্দোবস্ত করতে হবে; 

৭) তাবলিগের ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সহিংসতাপূর্ণ প্রোগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সবসময়ের জন্যই ‘ওলামাবিদ্বেষী’ সাদপন্থি মুক্ত রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ (জোবায়েরপন্থি)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
ইএসএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।